বারবার জন বারলাকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছে বিজেপি। এবার পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, ধর্ষণে অভিযুক্তকে আড়াল করা এবং তাঁর কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়া। এই নিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বাধ্য হয়ে বিশদে জানতে জেলা বিজেপি সভাপতিকে ডুয়ার্সে পাঠিয়েছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। আগে তিনি উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করা হবে বলে দাবি তুলে হাওয়া গরম করেছিলেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী এদিন প্রথমে নাগরাকাটায় এবং পরে মালবাজারে গিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জন বারলার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তা কতটা গুরুতর এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রভাব কতখানি পড়েছে তা নিয়ে জেলা সভাপতির কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বানারহাটের আদিবাসী যুবতীর নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়ালকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জেলা আদালতে পাঠানো পুলিশের রিপোর্টে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলার নামও রয়েছে। পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, নির্যাতিতা যুবতীর অভিযোগ, ২০০৮ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়াল। ২০২০ সালের অগস্ট মাসে তিনি এই অভিযোগ নিয়ে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলাকে নালিশ জানিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু সাংসদ অভিযুক্তের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে বিষয়টি আড়াল করতে চেয়েছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় জন বারলার বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা সভাপতিকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কারণ এই ঘটনার রেশ বজায় থাকলে তা পরবর্তী ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলবে। সংগঠন ভাঙতে পারে। তাই অবিলম্বে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছে বিজেপি বলে সূত্রের খবর। এমনকী জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।