উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে বিজেপি কর্মীর মা-কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরনগরের মানিকহীরা গ্রামের ঘটনা। নিহত কানন রায়কে সমীর মল্লিক নামে ওই তৃণমূল নেতা মাথায় আঘাত করে খুন করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকেলে। কাননদেবীর ছেলে জয়ন্ত জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবার বিজেপি সমর্থক। সেজন্য প্রায়শই বাড়ি সামনে দিয়ে যাতায়াতের সময় তাদের উদ্দেশ করে চিৎকার করে গালিগালাজ করেন তৃণমূলকর্মী সমীর। বুধবার সন্ধ্যাতেও গালিগালাজ করতে করতে যাচ্ছিলেন তিনি। জয়ন্ত তার প্রতিবাদ করলে সমীর তাঁর ওপর চড়াও হন। বেধড়ক মারধর করতে থাকে তাঁকে। ছেলে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বৃদ্ধা মা ও বাবা। তাঁদেরও মারধর করেন সমীর। কাননদেবীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। আঘাত করতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাননদেবী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীরা সমীরের বাড়ি ঘেরাও করে। শুরু হয় ভাঙচুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গাইঘাটা থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের হাত থেকে তৃণমূল কর্মী সমীরকে বাঁচাতে গ্রেফতার করে তাঁকে।
নিহতের ছেলে জয়ন্তবাবু জানিয়েছেন, আমরা বিজেপি করি বলে আমাদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চালাচ্ছিল সমীরসহ এখানকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে গালাগালি করতে করতে তারা যাতায়াত করে। কাল সন্ধ্যায় আমি প্রতিবাদ করি। তাই আমার মাকে মেরে ফেলল। এই খুনের বিচার চাই।