শান্তিপুরে শুরু হয়ে গেল অশান্তি। কারণ দুর্গাপুজো মিটলেই চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। তেমনই ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে তার ফলাফল বেরিয়েও গিয়েছে। তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে নদিয়ার শান্তিপুরে বিজেপিতে বড় ভাঙন দেখা দিল। এখানে ইস্তফা দিলেন শান্তিপুর শহর বিজেপির সভাপতি বিপ্লব কর। ইস্তফার কারণ সেই একই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সে অভিযোগ তিনি তুলেছেন। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি ছাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর।
ইস্তফাপত্রে কী লিখেছেন বিপ্লববাবু? তিনি লেখেন, ‘সাংসদ জগন্নাথ সরকার জনপ্রতিনিধি হয়েও তিনি মানুষের জন্য কাজ করছেন না।’ এই অভিযোগ তুলে ইস্তফাপত্র দিলেও বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলেন, ‘বিপ্লব করের ইস্তফাপত্র এখনও গৃহীত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে।’ আসলে এখন এই ইস্তফা আটকাতে না পারলে উপনির্বাচনে ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবী। কারণ বিপ্লববাবু সংগঠন দেখেন। সরে গেলে সংগঠন ধাক্কা খাবে।
একুশের নির্বাচনে এই আসনটি ধরে রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে তা ধরে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ দলের মধ্যে ডামাডোল শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শান্তিপুর টাউন বিজেপি সভাপতি বিপ্লব কর। তাঁর বক্তব্য, ‘সাংসদ জগন্নাথ সরকার দলীয় কর্মীদের সম্মান দেন না। শান্তিপুরের জন্য তিনি কোনও কাজ করেননি।’ এমনই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল সদ্য বিজেপি ত্যাগ করা বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর মুখেও।
সুতরাং প্রতিটি জেলাতেই একই সমস্যা উঠে আসছে। সাংসদের সঙ্গে বিধায়কের এবং সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতাদের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে অনুপস্থিতি ও ইস্তফার বহর। তবে বিপ্লব কর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে কিছু বলেননি। এই ঘটনায় জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। সেই দলে শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়েই চলতে হয়। কেউ যদি মনে করেন, সারাজীবন সভাপতির পদেই থেকে যাবেন, সেটা বিজেপিতে সম্ভব নয়।’