একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এবং বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বীরভূমের বিভিন্ন এলাকার বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেও বিজেপির অভিযোগ। এবার লকডাউনের মধ্যেই বীরভূমের রামপুরহাট শহরের মল্লারপুর থানা এলাকায় এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তা নিয়ে তেতে উঠেছে জেলার রাজনীতি। মৃতের নাম জাকির হোসেন, বয়স ৫০। বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে ঘরছাড়া ছিলেন তিনি। গত ৮ মে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হন জাকির। আর সেই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হল রবিবার।
পরিবার সূত্রে খবর, আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ার কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কলকাতায় যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় জাকিরের। তিনি বীরভূমের মল্লারপুর থানার অন্তর্গত কোট গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন। পূর্বে তিনি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানও ছিলেন। তবে পরে বিজেপিতে যোগ দেন।
বিজেপির বীরভূম জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অশান্তির জেরে আমাদের এই বিজেপি কর্মী জাকির হোসেন গ্রামছাড়া ছিলেন। গত ৮ তারিখ বাড়ি ফেরার চেষ্টা করলে তিনি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। তাঁর একটি হাত এবং একটি পা ভেঙ্গে যায়। শরীরেও একাধিক জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়। আজ তিনি প্রাণ হারান।’ এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মল্লারপুর কোট গ্রামের স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের পাশে দল থাকবে না বলেও জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই ঘটনার বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। জাকির হোসেনের ব্যক্তিগত শত্রু ছিল কয়েক’শ। আর এই ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এমনটা হতে পারে। আমরা এইরকম কোন ঘটনাকে সমর্থন করি না।