সিআইডি তদন্তের দাবিতে পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর তৎপর হল পুলিশ। তার পরই প্রায় দেড় মাস নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। নিহত দিল মহম্মদকে (৩৩) গত ২১ জানুয়ারি থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার উলুবেড়িয়ার সমরুক হাট এলাকায় জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর বস্তাবন্দি দেহাবশেষ। ঘটনায় এলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরিবারের দাবি, দিল মহম্মদ নিখোঁজ হওয়ার পর উলুবেড়িয়া থানায় ডায়েরি করা হয়। কিন্তু তাঁকে উদ্ধারে কোনও চেষ্টা করেনি পুলিশ। এর পর ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত উলুবেড়িয়া থানার কাছে তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চায়। এর পরই টনক নড়ে পুলিশের। জানা যায় ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল স্থানীয় এক গৃহবধূর।
গৃহবধূর পরিবারের কয়েকজনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে পড়ে আসল ঘটনা। জেরায় তারা স্বীকার করে, গত ২১ জানুয়ারি দিল মহম্মদকে খুন করে দেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় সামরুক হাট এলাকায় জঙ্গলে ফেলে এসেছে তারা। অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে সোমবার উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির বস্তাবন্দি দেহাবশেষ। ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে ঘটনায় আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।