বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > আবার আক্রান্ত পুলিশ, গাড়ি লক্ষ্য করে চলল বোমাবাজি, উত্তপ্ত হয়ে উঠল রেজিনগর

আবার আক্রান্ত পুলিশ, গাড়ি লক্ষ্য করে চলল বোমাবাজি, উত্তপ্ত হয়ে উঠল রেজিনগর

রেজিনগরে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

ওই যুবক আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির অনুগামী। দুই গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে বিবাদেই রবিবার রাতে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয় এলাকায়। পুলিশও আক্রান্ত হয়। রবিবার নিগৃহীত যুবক রেজিনগর থানায় গিয়ে ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই রাতে ওই ঘটনার তদন্ত করতে ইউসুফের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। 

এক অভিযুক্তকে আটক করতে গিয়েছিল পুলিশ। পাল্টা আক্রান্ত হল পুলিশই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রেজিনগর থানার নাজিরপুর এলাকা। তবে এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তার জেরে একজন অভিযুক্তকে আটক করতে যায় পুলিশ বলে অভিযোগ। আর সংঘর্ষও থামাতে এসেছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশ গ্রামেই ঢুকতে পারল না। উল্টে পুলিশকে লক্ষ্য করে লাগাতার বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল। এমনকী পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচান পুলিশকর্মীরা নিজেদের। তবে এই ঘটনায় তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরের নাজিরপুর গ্রাম।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার মাঝরাতে রেজিনগরের নাজিরপুরের বাসিন্দা ইউসুফ নামে এক যুবকের বাড়িতে যায় পুলিশ। তাকে সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ তাকে ভ্যানে তুলতে যায়। তখন বাড়ির মহিলারা পুলিশের উপর হামলা চালান। ইট ছুড়ে পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে দেন। রেজিনগরের নাজিরপুর গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় রবিবার মাঝরাতে। এই গ্রামে সংঘর্ষ থামাতে গিয়েছিল পুলিশ। আর ইউসুফের জন্যই এমন ঘটেছিল বলে তাকে আটক করতে আসে পুলিশ।

অন্যদিকে পুলিশ আসার খবর পেয়েই তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিছু গ্রামবাসী এবং ইউসুফের দলবল বলে অভিযোগ। তাঁরাই পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। এই বোমার আঘাতে পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এই ঘটনায় আজ, সোমবার তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ওই গ্রামে এখন কোনও পুলিশ মোতায়েন নেই। সূত্রের খবর, ইউসুফ বিধায়ক রবিউল আলমের অনুগামী। আতাউর নাজিরপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির পদে আছেন। রবিউল আলম এবং আতাউর গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ অব্যাহত। এখানেই এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিধায়কের অনুগামী ইউসুফের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন:‌ বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়িতে পুলিশের হানা, ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হচ্ছে জবাব

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ওই যুবক আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির অনুগামী। দুই গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে বিবাদেই রবিবার রাতে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয় এলাকায়। পুলিশও আক্রান্ত হয়। রবিবার নিগৃহীত যুবক রেজিনগর থানায় গিয়ে ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই রাতে ওই ঘটনার তদন্ত করতে ইউসুফের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। তারপরই শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এই ধারা অব্যাহত ছিল। প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়েছিল এই গ্রাম থেকে। বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছিল রেজিনগরের এই গ্রামে।

বন্ধ করুন