কখনও তিনি পাঠান, আবার কখনও তিনি জওয়ান। আর নাইটদের ড্রেসিং রুমে তিনিই কবির খান। একটা দল ঘরের মাঠে বড় রান করেও হেরে যাচ্ছে। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে জিততে পারেনি। জস বাটলারের অতিমানবীয় ইনিংসে সেদিন শেষ হয়ে গেছিল নাইটদের ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন। এরপর ঘরের মাঠে আবারও একটা ম্যাচ। সেখানে পঞ্জাবের বিপক্ষে ২৬১ রান করেও হারতে হয়েছে। এক্ষেত্রে জনি বেয়ারস্টো- শশাংঙ্ক সিংরা ইডেনে এসে দাদাগিরি করে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই মনোবল তলানিতেই থাকার কথা নাইটদের। মিচেল স্টার্কের মতো বোলাররাও কিনা আইপিএলে দাঁড়াতে পারছে না। চেন্নাইতে গিয়ে ধোনিদের বিপক্ষেও হারতে হয়েছে।
লিগ টেবিলে রবিবার রাত পর্যন্ত যা অবস্থা ছিল তাতে প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ রাজস্থান ছাড়াও আরও ৫টি দলের কাছে ছিল। এদিকে ইডেনে দিল্লি ম্যাচের পর মাত্র একটাই হোম ম্যাচ ছিল নাইটদের। ফলে তাঁদেরকে দিল্লির বিরুদ্ধে কার্যত জিততেই হত। এমন সময় দলের মনোবল চাঙ্গা করতে আর কেই বা এগিয়ে আসতে পারতেন। সব থেকে অভিজ্ঞ আর এই কাজে এক নম্বর, নাইট কর্ণধারই পাশে দাঁড়ান ক্রিকেটারদের। ম্যাচের আগের দিন ভোকাল টনিকেই আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনেন হর্ষিত রানা, আন্দ্রে রাসেলদের মধ্যে।
কবির খানের দেওয়া ভোকাল টনিক, চক দে ইন্ডিয়াতে ভারতের মহিলা হকি দলকে জিতিয়েছিল। এক্ষেত্রে তিনি কোচ নন, তবে তাঁর ভোকাল টনিকে যে সকলে উজ্জীবিত হবেন, তা আর বলার বাকি রাখে না। রিল লাইফের কবির খান, রিয়াল লাইফেও করে দেখালেন সেটাই। ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন রাতে ডিনার হওয়ার কথা ছিল, একপ্রস্থ পার্টিও নাকি প্ল্যান করা হয়েছিল, কিন্তু সেসবের আগে দলের ক্রিকেটারদের খেলা নিয়েই বার্তা দেন শাহরুখ খান, আর তাতেই বদলে যায় চিত্রটা।
ম্যাচের আগে কিং খান ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে যা বলেন, তাঁর সারমর্ম অনেকটা এরকম, ‘ভেঙে পড়লে চলবে না। এরকম ম্যাচ মাঝে মধ্যেই আসবে। কিন্তু দলের মনোবল শক্ত করতে হবে। খেলায় হার-জিত থাকবেই। এক একটা ম্যাচে এমন হয়ে যায়। তবে প্রথম তিন ম্যাচে যেমন সাহসী ক্রিকেট দল খেলেছিল,কোনও প্রতিপক্ষকেই তোয়াক্কা করছিল না,তেমন ক্রিকেটই ফের হাতিয়ার করতে হবে’।
শুক্রবার কলকাতার পরের ম্যাচ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারলে, লিগে নিজেদের অবস্থান আরও ভালো জায়গায় নিয়ে যাবে গৌতম গম্ভীরের দল।