সম্প্রতি জাল জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভরতি থেকে শুরু করে আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মহকুমা শাসক এবং জেলা শাসকের দফতরে জাল জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে একটি চক্র কাজ করছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। শনিবার কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানোর পর সিবিআইয়ের বক্তব্য এই ঘটনার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসকের কর্মরত ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: ‘একটি পচা আপেল থাকলেও…’ জাল জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে রাজ্যকে কড়া বার্তা হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, বসিরহাট পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসতেই তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি শনিবার তাকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সিবিআইয়ের অনুমান, জাল সার্টিফিকেট শুধুমাত্র আধা সামরিক বাহিনী বা মেডিক্যালে ভরতির ক্ষেত্রে নয় অন্যান্য সরকারি চাকরি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভরতির ক্ষেত্রেও জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী এই রাজ্য থেকে জাল শংসাপত্র নিয়ে গিয়ে অন্য রাজ্যের চাকরিতে বা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ব্যবহার করার অভিযোগ সামনে এসেছে।
প্রসঙ্গত, জাল শংসাপত্র ব্যবহারের অভিযোগ প্রথম সামনে আসে আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ জানানো হয় যে জাল জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে পাক নাগরিকরা ভারতের আধা সামরিক বাহিনীতে চাকরি করছে। সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে গত বছরের অগস্ট মাসে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর এফআইআর করে তদন্ত শুরু করে শনিবার কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি বসিরহাটের ওই ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। উল্লেখ্য, মেডিক্যাল কলেজে ভরতির ক্ষেত্রে জাল জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ সামনে এসেছিল। সে ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তবে তারপরে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিত করে দেয়। এই নিয়ে নজরবিহীন দ্বন্দ্ব দেখা যায় দুই বিচারপতির মধ্যে।