ইদানীং ফের ভোট পরবর্তী হিংসায় সরব হয়েছে বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দুদিন আগে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করেছেন বিজেপি সমর্থিত আইনজীবীরা। সেইসঙ্গে ঘরছাড়াদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এবার ভোট-পরবর্তী হিংসায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সেখানকার দাপটে তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় পানকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। এছড়াও আরও বেশ কয়েকজনকে এদিন মুখোমুখি বসিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আজ খড়্গপুরের ডিআরএম বিল্ডিংয়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন সঞ্জয় পান। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় কেশপুর ব্লকের মোট ১২১ জনের নামে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছে। কেশপুরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর রেলওয়ে ডিভিশনের ডিআরএম বিল্ডিংয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে সিবিআই। সেখানে অভিযুক্তদের এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই।
জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এনিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন সঞ্জয় বাবু। তাঁর কটাক্ষ, ‘আমাদের দেশে গুণী ব্যক্তিদের ভারতরত্ন দেওয়া হয়। এই রত্ন দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেরকম কেন্দ্র সিবিআইকে কেশপুর রত্ন খুঁজে বার করার দায়িত্ব দিয়েছে। তাই সিবিআই আমাদের কেশপুররত্ন হিসেবে ডেকেছে।’ এর ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও অপরাধ করেনি। তাই হয়তো কেশপুর রত্ন হিসেবেই আমার ডেকে সিবিআই।’