ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বড়সড় ভুল ধরল সিবিআই। যে ভুল চোখেই পড়েনি সিটের আধিকারিকদের। যাতে তপন কান্দুর স্ত্রীর দাবি, সত্য উদ্ঘাটন করতে নয়, ঘটনা ধামাচাপা দিতে তদন্ত করেছে সিট।
তপন কান্দুর ময়না তদন্তের রিপোর্ট পরীক্ষা করে সিবিআই আধিকারিকরা আবিষ্কার করেন তাতে রয়েছে বড়সড় ভুল। তপন কান্দুর শরীরে যে দিক থেকে গুলি ঢুকেছিল ও যে দিক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল তা উলটো লেখা ছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে দিয়ে সেই ভুল সংশোধন করিয়ে এনেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ত্রুটির জন্য আদালতের বিচার প্রক্রিয়া অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা মুশকিল হত।
ওদিকে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কি আদৌ দেখেছিলেন সিটের আধিকারিকরা? তাহলে এত বড় ভুল তাদের চোখে পড়ল না কেন? না কি গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়াই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য?
গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তখনও বোর্ড গঠন হয়নি ঝালদায়। বিকেলে হাঁটতে বেরোতেন তপন কান্দু। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার মধ্যে একটি গুলি তপনবাবুর মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্তের অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তপন কান্দুর পরিবার। তাদের অভিযোগ, ঝালদা পুরসভার দখল নিতে ঝালদার ওসিকে দিয়ে পরিকল্পনামাফিক তপন কান্দুকে খুন করিয়েছে তৃণমূল।