অধ্যক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নেওয়ায় কলেজ ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর দাবিতে যখন লাগাতার আন্দোলন করে চলেছে তৃণমূল, তখন স্বরূপনগর কলেজে সিসিটিভির বিরোধিতা করার অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। যদিও TMCP-র দাবি, কমন রুম ও মহিলা অধ্যাপকদের ঘরে ক্যামেরা লাগানোর বিরোধিতা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলেজের একাধিক বিষয় নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন স্বরূপনগর সৈয়দ নুরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ। সেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন সদস্য। কলেজে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো যাবে না বলে দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এর পর কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য তথা স্থানীয় বিধায়ক বীণা মণ্ডলের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, বৈঠক চলাকালীন কয়েকজন ছাত্র বেরিয়ে গিয়ে ভাঙচুর করতে শুরু করে। তবে তারা কেন ভাঙচুর করেছে জানি না। ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে পৌঁছলে TMCP-র তরফে জানানো হয়, আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর বিরোধী নই। কিন্তু কমন রুম ও মহিলা অধ্যাপকদের ঘরে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। মহিলা অধ্যাপকদের গোপনীয়তা ভঙ্গ হতে পারে। কলেজের অন্য কোথাও CCTV ক্যামেরা লাগানো নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই। প্রশ্ন উঠছে, মহিলা অধ্যাপকদের ঘরে ক্যামেরা লাগানোয় আপত্তি থাকলে মহিলা অধ্যাপকরাই তা জানাবেন। তাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এত উচাটন কেন।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে অন্যান্য কলেজের মতো ভোট না করিয়ে স্বরূপনগর কলেজের ছাত্র সংসদও গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে তৃণমূল। এই ঘটনায় তাদের সুবিধাবাদী অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেল বলে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা।