এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার আসনগুলির মধ্যে অন্যতম নজরকাড়া হল ঘাটাল কেন্দ্রটি । এখানে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামেদের প্রার্থী হয়েছেন যথাক্রমে দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনেই তরুণ মুখ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। ঘাটালে এবার ত্রিমুখী লড়াই হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ভোটে কে জয়ী হবে সেটা ফলাফলের পরেই বোঝা যাবে। তবে সম্পত্তির দৌড়ে এই তরুণ দুই নেতার মধ্যে কে এগিয়ে তা বেশ স্পষ্ট। সম্প্রতি দেবাংশু এবং সায়ন নির্বাচনী হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাতে নিজেদের সম্পত্তির বিবরণ তুলে ধরেছেন দুই নেতা।
আরও পড়ুনঃ অভিষেকের পিছনে জঙ্গি লাগালো কে? এক্স হ্যান্ডেলে বিস্ফোরক দাবি করলেন দেবাংশু
সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয় ও সম্পত্তি
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, পেশায় কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৪ লক্ষ ৭১ হাজার ১৩০ টাকা আয় করেছেন। আর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৮০ টাকা। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে নগদ ১০ হাজার টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২১ লক্ষ ৭৩ হাজার ১১ টাকা। যদিও সায়নের নিজস্ব কোনও সোনাদানা নেই। তবে তার স্ত্রীর ৩৬৮ গ্রাম সোনার গহনা রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও, সায়নের দুটি গাড়ি রয়েছে, যার মধ্যে একটি গাড়ির দাম ১ লক্ষ ৩০ হাজার এবং অন্য গাড়িটির দাম হল ১০ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯০১ টাকা। তাঁর ৬ লাখের বেশি টাকার কার লোন রয়েছে। অন্যদিকে, তার স্ত্রীরও একটি গাড়ি রয়েছে, যার দাম হল ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
দেবাংশু ভট্টাচার্যের আয় এবং সম্পত্তি
কোনও চাকরি বাকরি না থাকলেও দেবাংশুর আয় নেহাত কম নয়। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয় সায়নের থেকেও বেশি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেবাংশু ভট্টাচার্য ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮২০ টাকা আয় করেছিলেন। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই আয় ছিল ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৯০ টাকা।
দেবাংশু ভট্টাচার্যের কাছে এই মুহূর্তে নগদ রয়েছে সায়নের থেকে বেশি। তার পরিমাণ হল ৫৬ হাজার টাকা। যদিও দেবাংশুর কোনও বাইক বা গাড়ি নেই। তাঁর নিজস্ব সোনাদানাও নেই। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ১৮ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৬৪ টাকা।
অন্যদিকে, তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক ঋণ নেই। তাঁর দুটো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ২১৩ টাকা রয়েছে এবং পোস্ট অফিসে ৫০০ টাকার সেভিংস রয়েছে। যদিও তিনি বন্ধুদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন বলে নির্বাচনী হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে।