সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ির সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। নয়াদিল্লিতে উড়ে গিয়ে তিনি বৈঠক করেছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়। তারপরই শুভেন্দুর মন রাখতে তিনি একটি টুইট করেন। সেই টুইটের পর বন্দর–শহরের বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, তাহলে কী কোলাঘাটে নতুন বন্দর হচ্ছে?
ঠিক কী টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? তিনি টুইটে লেখেন, ‘খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে ঘোষণা করা হয়েছে, এখানে একটি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে হলদিয়ার মাল্টি মোডাল টার্মিনাল (জাতীয় সড়ক–১১৬) এবং কোলাঘাট বন্দরের মধ্যে। নয়া জাতীয় সড়ক হবে পশ্চিমবঙ্গে।’ এই টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যুক্ত করা হয়।
এরপরই নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। নতুন জাতীয় সড়ক বলা হচ্ছে কেন? কোলাঘাটকে বন্দর বলা হচ্ছে কেন? আসলে এখানে কী হবে? এবং মাল্টি মোডাল টার্মিনাল বিষয়টা কী? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে এলো। ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘এটা আগে হলদিয়া–কোলাঘাট ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ছিল। সেটাকেই নতুন করে সাজিয়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক করা হচ্ছে।’ সুতরাং ফের সামনে চলে এলো গোটা বিষয়টি আসলে নতুন বোতলে পুরনো মদ।
কিন্তু এটা কেন করা হচ্ছে? সূত্রের খবর, কোলাঘাটে রূপনারায়ণ নদীর ওপর থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ছাই বা অন্যান্য পণ্য নদীপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি জেটি তৈরি করা হবে। এটাকেই পোর্ট বা বন্দর বলা হচ্ছে। আসলে নতুন করে কোনও বন্দর তৈরি করা হচ্ছে না। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
মাল্টি মোডাল টার্মিনাল বিষয়টা কী? জানা গিয়েছে, মাল্টি মোডাল হাব বা টার্মিনাল হল হলদিয়ার পাতিখালি এলাকায় হুগলি নদীর ওপর একটি জেটি। এখানে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪ মিলিয়ন টন পণ্য ওঠানামার ক্ষমতা রয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়াটিকেই বড় করে পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে। যার ভৌগোলিক অবস্থান কোলাঘাট সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদী যেখানে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের যোগ রয়েছে।