পাড়ায় শিক্ষালয়ে রোদের মধ্যে কীভাবে ক্লাস করবে শিশুরা? প্রশ্ন অভিভাবকদের

শিলিগুড়িতে এরকমই অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, 'শিশুরা এভাবে ক্লাস করতে অভ্যস্ত নয়। কতদিনই বা তারা এইভাবে ক্লাস করবে।'

পাড়ায় শিক্ষালয়ে রোদের মধ্যে কিভাবে ক্লাস করবে শিশুরা? প্রশ্ন অভিভাবকদের। প্রতীকী  ছবি হিন্দুস্তান টাইমস।

আজ সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি। যেখানে প্রাক প্রাইমারি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু, এই কর্মসূচি শুরুর প্রথম দিনে ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিভাবকরা। পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচিতে পড়ুয়াদের ক্লাস হচ্ছে খোলা মেলা জায়গায়। গত কয়েকদিন ধরে রোদের তেজ কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে খোলামেলা জায়গায় শিশুরা পড়াশোনা করলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবকদের একাংশ।

অভিভাবকদের অভিযোগ, 'শিশুদের এভাবে রোদে থাকার অভ্যাস নেই। তারা যদি টানা এভাবে রোদের মধ্যে বসে থাকে তাহলে তারা শুধু অসুস্থ হয়ে পড়বে তাই নয়, পড়াশোনায় মন বসাতে পারবে না।' শিলিগুড়িতে এরকমই অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, 'শিশুরা এভাবে ক্লাস করতে অভ্যস্ত নয়। কতদিনই বা তারা এইভাবে ক্লাস করবে।' ইতিমধ্যেই প্রখর রোদে ক্লাস করার ফলে বেশ কিছু শিশু প্রখর রোদে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।

প্রসঙ্গত, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হচ্ছে স্কুলে। তবে করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য প্রাক প্রাইমারি থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাস আজ থেকে শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষা কর্মসূচির আওতায়। পড়ুয়াদের পড়াশোনায় উদ্যোগী করে তুলতে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে ক্লাস হবে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচিতে। যার মধ্যে দুটি ধাপে ক্লাস হবে দু ঘণ্টা ধরে। তাদের ক্লাস নেবেন স্কুলের শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষা সহায়করা। পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিল এর ব্যবস্থা রয়েছে। তবে প্রথম দিনেই রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন অভিভাবকেরা।