চিনা 'চর' হান জুনেইকে দশ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দিল মালদহ আদালত। এদিন ধৃতকেট আদালতে তোলা হলে, তাকে এটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই ওই চরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এসটিএফ। তদন্তের স্বার্থে তাকে কলকাতায় আনা হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে এসটিএফের আধিকারিকরা।
আগামী ১৮ জুন হানকে আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার মালদহ পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। হান জুনেইকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে এদিন আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা। ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল এসটিএফ। তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এর পর হানকে মালদহের পুলিশ ফাঁড়ি বা এসটিএফের অফিসে রেখে জেরা করা হবে নাকি কলকাতায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এতদিন পর্যন্ত হান সংক্রান্ত যে সমস্ত তথ্য বিএসএফ ও মালদহ জেলা পুলিশের হাতে ছিল, তার তদন্তের রিপোর্ট ছাড়াও হানের জেরার ভিডিয়ো রেকর্ডিং, কী ভাবে সে ভারতে এল তার পুনর্নির্মাণের রেকর্ড সমস্ত তথ্য এসটিএফের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
১২ জুন কালিয়াচক থেকে চিনা চর হানকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল বিএসএফ। ওইদিনই ধৃত চিনা চরকে মালদহ আদালতের তোলা হলে, ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবেদনের ভিত্তিতে এদিন ধৃতকে এসটিএফ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত মিলিক সুলতানপুর পেরিয়ে মালদহ দিয়ে অনুপ্রবেশের সময়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছিল এই চিনা নাগরিক হান জুনেই। তাকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধৃতের কাছ থেকে যেসব বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম তার ল্যাপটপ ও আই ফোন নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, হানের ল্যাপটপ ও আই ফোনের পাসওয়ার্ড মান্দারিন ভাষায় লক করা রয়েছে। তাই ওই ভাষা জানা ব্যক্তির খোঁজ করছে পুলিশ। তা না হলে কোনওভাবেই ল্যাপটপ বা আই ফোন খোলা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিয়েছে তারা। সেকারণে সেসব থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও নথিই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যা তদন্তে সাহায্য করতে পারে। এবার তাকে জেরার পাশাপাশি এসটিফ যে এই ল্যাপটপ, ফোনও খোলার চেষ্টা করবে, তা বলাইবাহুল্য। কারণ, তদন্তকারীদের ধারণা, এই বৈদ্যুতিন যন্ত্রগুলোর তথ্য বার করতে পারলেই হান রহস্যের সমাধান সম্ভব হবে।