উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটনাস্থলে পৌঁছল সিআইডি। শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সঙ্গে বেশ কিছু মানুষের দেহাংশ উদ্ধার করেছেন তাঁরা। সেগুলি কাদের জানতে DNA পরীক্ষা করানো হবে। ওদিকে দিনভর ঘটনাস্থলের কাছে অপেক্ষা করেন নিখোঁজ ২ কিশোরের পরিবার। তবে এদিনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাদের। দেহ গঙ্গায় ভেসে যেতে পারে এই অনুমানে নামানো হয়েছে ডুবুরি।
শুক্রবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর সিআইডির তরফে জানানো হয়েছে, গঙ্গার পাড়ে ওই জায়গায় কোনও বড় পাত্রে ১৭ – ১৮টি বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল। তবে তার ওপর চাপ পড়ে বিস্ফোরণ হয়েছে এই দাবি মানতে নারাজ গোয়েন্দারা। তাদের দাবি, বোমার বার করতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
এদিনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ২ কিশোরের। পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরণের অভিঘাতে গঙ্গায় ছিটকে পড়েছে তাদের দেহ। দেহ উদ্ধার করতে তাই শুক্রবার গঙ্গায় ডুবুরি নামানো হয়। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। ছেলেদের অপেক্ষায় দিনভর ঘাটে দাঁড়িয়ে ছিল ২ পরিবারের সদস্যরা।
ওদিকে বোমা মজুত রাখার অবিযোগে বিট্টু জয়সওয়াল নামে এক দুষ্কৃতীকে বৃহস্পতিবার আটক করেছিল পুলিশ। শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিট্টু আবার স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি তৃণমূলের।