ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক কল্যাণশিস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় এবার তদন্তের দায়িত্ব নিল সিআইডি। জানা গিয়েছে, কল্যাণের নিজের দাদা শুভাশিস ঘোষ ডায়মন্ড থানার আইসি। তাই এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। এমনটাই জানিয়েছেন আইসি শুভাশিস ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ কল্যাণশিসকে জোর করে নেশায় ডুবিয়ে রাখা হত, বিস্ফোরক দাবি পরিবারের
চিকিৎসকের অপমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের বার মালিক অভিজিৎ দাস এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী রিয়া দাস সহ বাকিবুল্লা বোরহানি নামে এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এবার তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিআইডি। আজ ধৃতদের ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করার কথা রয়েছে। সেখানে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাতে পারে সিআইডি।
কল্যাণশিসের মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। ৩জন গ্রেফতার হলেও এখনও ৩ জন অধরা রয়েছে। মৃত চিকিৎসকের বিভিন্ন নথি ঘেঁটে এক মহিলা কনস্টেবলের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে তাদের কী ভূমিকা রয়েছে তা খতিয়ে দেখবে সিআইডি।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, কল্যাণশিসের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মোটা টাকা নিয়েছে রিয়া এবং তার প্রাক্তন স্বামী। সেই টাকা দিয়ে পরে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিল রিয়া। ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটের কাছে অভিজিতের যে পানশালাটি রয়েছে সেখানে মাঝে মধ্যেই যেতেন কল্যাণশিস। সেই সূত্রেই অভিজিতের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল কল্যাণশিসের।
এদিকে, কল্যাণশিসের পরিবারের আরও অভিযোগ শুধু তাঁকেই নয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরও প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়েছিল রিয়া। যদিও পুলিশের কাছে অভিজিৎ দাবি করেছে সঙ্গে রিয়ার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, তবে পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, দুজনেই কল্যাণশিসের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। সেক্ষেত্রে ডায়মন্ডহারবারের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাকিবুল্লার সঙ্গে রিয়ার কি সম্পর্ক রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি জানিয়েছেন, কল্যাণশিস যেহেতু তাঁর ভাই, তাই সিআইডি এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে।