ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের জনপ্রিয় চিকিৎসক কল্যাণশিস ঘোষের মৃত্যুতে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন বার মালিক অভিজিৎ দাস ও তার প্রাক্তন স্ত্রী রিয়া দাস। এখনও পর্যন্ত মোট ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে। এবার এই মৃত্যুর ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ডাক্তারবাবুর পরিবারের দাবি, তাঁর কাছ থেকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতিয়েছিল বার মালিকের প্রাক্তন স্ত্রী রিয়া। আর সেই টাকাতেই নাকি শাড়ির ব্যবসা চালু করেছিলেন রিয়া। শুধু তাই নয়, আরও অনেকই মিথ্যে সম্পর্কের জালে জড়িয়েছিলেন রিয়া। আর তাদের কাছ থেকেও তোলা টাকা ভাগ করে নিতেন রিয়া এবং তার প্রাক্তন স্বামী।
আরও পড়ুনঃ মেডিক্যালের চিকিৎসকের মৃত্যুতে এবার গ্রেফতার বার মালিকের প্রাক্তন স্ত্রী সহ ৩
চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর একমাত্র মেয়ে। তাতে নাম রয়েছে ২ পুলিশ কর্মীরও। পরিবারের অভিযোগ, কোনও অপ্রিয় সত্যি কথা জেনে ফেলেছিলেন কল্যাণশিস। সেই কারণে তাঁর ওপর মাত্রাছাড়া অত্যাচার করা হতো। অভিযুক্তরা মিলে ডাক্তারবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, আত্মহত্যার আগে চিকিৎসকের ফেসবুক পোস্টে হতাশা ফুটে উঠেছিল।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রিয়ার সঙ্গে অভিজিতের বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও দুজনে মিলে চিকিৎসকের কাছে বিভিন্ন সময় মোটা টাকা নিয়েছেন। এমনকী চিকিৎসককে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ওই দুজনে। শুধু তাই নয় চিকিৎসককে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে চরম অবসাদের মধ্যে ছিলেন চিকিৎসক। অধিকাংশ সময় নেশায় বুঁদ থাকতেন তিনি। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসককে নেশায় ডুবিয়ে রাখা হত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তাঁর পরিবার।
চিকিৎসকের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী নিজে মুখেই তাঁকে মারধর করার কথা জানিয়েছিলেন। এমনকী শরীরে একাধিক আঘাতও তাঁকে দেখিয়েছিলেন। ডাক্তারবাবুর স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে জানিয়েছিলেন রিয়া অভিজিতের সঙ্গে ডিভোর্সের নাটক করে সমাজের প্রতিষ্ঠিত লোকেদের ফাঁসাতেন। এমনকী প্রশাসনের অধিকারীদের সঙ্গেও রিয়া তা করেছেন বলে চিকিৎসকের স্ত্রী দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, এই চক্রে আরও অনেকেই জড়িত বলে দাবি করেছেন ডাক্তারবাবুর স্ত্রী। এমন অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছেন চিকিৎসকের স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ।