সন্দেশখালির ছায়া এবার হাওড়ার আমতায়। রাতের অন্ধকারে মদ বানানোর জন্য মহিলাদের ভাটিখানায় ডাকার অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ করে কাজ না হওয়ায় ঘরছাড়া হয় পরিবারগুলি। চার বছর পর বৃহস্পতিবার ভোটের মুখে বাড়িতে ফিরলেও কতদিন টিকতে পারবেন তা নিয়ে সন্দিহান মহিলারা। অভিযোগ, পুলিশে অভিযোগ করলেও সহযোগিতা পাননি তাঁরা। অভিযোগের তির তৃণমূল নেতা স্বপন খাঁড়ার দিকে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই দার্জিলিংয়ে ১০ লক্ষ নগদ টাকা-সহ গ্রেফতার রাজু বিস্তা ঘনিষ্ঠ BJP নেতা
পড়তে থাকুন: ‘এক বছর, এক প্রধানমন্ত্রী ফর্মুলা বানাচ্ছে ইন্ডিয়া জোট’, আশঙ্কা প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
হাওড়ার আমতার চন্দ্রপুরের মহিলাদের দাবি, তৃণমূল নেতারা রাতে চোলাই মদ বানানো ও প্যাকেট করার নাম করে ভাটিখানায় টেনে নিয়ে যেত। সেখানে গেলে হাত ধরে টানাটানি আরও নানা ভাবে লাঞ্ছনা করা হত। বিষয়টি সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে আমতা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। ফলে সম্ভ্রম বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ঘর ছাড়েন তাঁরা।
চার বছর পর ভোটের মুখে বৃহস্পতিবার বাড়িতে ফিরেছে পরিবারগুলি। ফিরে দেখেন বাড়ি চলে গিয়েছে লতাগুল্মের দখলে। বাড়িতে ফিরলেও চোখেমুখে আতঙ্ক তাঁদের।
নির্যাতিতা এক মহিলা বলেন, ‘তৃণমূল নেতা স্বপন খাঁড়ার জন্য বাড়িতে থাকতে পারতাম না। ও আর ওর ভাই চোলাইয়ের কারবার করে। রাতে মদ প্যাকেট করার জন্য ডাকে। সেখানে গেলে সম্ভ্রম নিয়ে টানাটানি শুরু করে দেয়। না গেলে আবার স্বামীদের ধরে মারে।’
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই দার্জিলিংয়ে ১০ লক্ষ নগদ টাকা-সহ গ্রেফতার রাজু বিস্তা ঘনিষ্ঠ BJP নেতা
অভিযোগ অস্বীকার করে স্বপন খাঁড়া জানিয়েছেন, চোলাইয়ের ব্যবসা করা তো দূরের কথা আমি মদই খাই না। যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার ভাইয়ের খুনে অভিযুক্ত। জনরোষের ভয়ে ওরা পালিয়ে গিয়েছিল। ভোটের মুখে ফিরেছে।