বাইক চুরি করেছিল তিন যুবক। কিন্তু সেই বাইক বিক্রির টাকা নিয়ে বচসা শুরু হয় ওই দুষ্কৃতীদের মধ্যে। বখরার ভাগ না পেয়ে দুই দুষ্কৃতী তাদের তৃতীয় সঙ্গীকে খুন করে ইটভাটায় তার দেহ পুঁতে রেখেছিল। ঘটনার দীর্ঘ আট মাস পর শুক্রবার হাওড়া সাঁকরাইলের একটি ইটভাটার মাটি খুঁড়ে অভিযুক্ত ওই তৃতীয় যুবকের দেহাংশ উদ্ধার করল পুলিশ। তারপর মৃতের দেহাংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনায় অপর দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ধৃতদের হাওড়া আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রথমে অপহরণের মামলা রুজু থাকলেও পরে নতুন করে খুন ও দেহ লোপাটের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম শেখ হাসান। অভিযুক্ত ওই যুবক সাঁকরাইলের বাসিন্দা। অন্যদিকে, ধৃত অভিযুক্তদের নাম ইসরাফিল ও মুন্না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় হাসানকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখার বিষয়ে স্বীকার করে নিয়েছে মুন্না ও ইসরাফিল। শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে সারেঙ্গার ওই ইটভাটায় যায় পুলিশ। অভিযুক্তদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গা মাটি খুঁড়ে হাসানের দেহাংশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাঁকরাইল এলাকা থেকে একটি বাইক চুরি করে ওই তিন যুবক। চুরি করা বাইকটি হাসানের কাছেই রেখে দিয়েছিল অপর দুই অভিযুক্ত। ওই দুই অভিযুক্তের দাবি, এই ঘটনার কিছুদিন পরেই সেই বাইকটি বিক্রি করে দেয় হাসান। কিন্তু সেই টাকার ভাগ ইসরাফিল ও মুন্নাকে দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি বলে অভিযোগ। হাসান পুরো টাকাটাই আত্মসাৎ করে নেয় বলে অভিযোগ ধৃতদের।
পুলিশি জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, এর পরেই বদলা নেওয়ার জন্য হাসানকে খুন করার পরিকল্পনা করে দু’জনে। সুযোগ বুঝে জানুয়ারি মাসেরই এক রাতে হাসানকে মদ খেতে ডাকে অভিযুক্তরা। সাঁকরাইলের সারেঙ্গা এলাকার একটি ইটভাটায় হাসানকে ডেকে পাঠায় ওই দুই অভিযুক্ত। এরপর হাসান সেখানে গেলে প্রথমে তার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্তরা। তারপর সেই রাতেই তার দেহ ইটভাটার মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেয় ওই দুই দুষ্কৃতী।