বড়ই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। আসন সমঝোতা নিয়ে বাম-কংগ্রেস দু'পক্ষই কেউ ঝেড়ে কাশছে না। এদিন লোকসভা ভোটের দিন এগিয়ে আসছে। তা আর অপেক্ষায় না থেকে বাম-কংগ্রেস উভয়ই ৪২ জনের তালিকা তৈরি করে ফেলল।
লোকসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে রবিবার বৈঠকে বসে প্রদেশ কংগ্রেস। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এআইসিসি-র প্রতিনিধিরা। তাঁদের হাতে ৪২ আসনের প্রার্থী তালিকা তৈরি তুলে দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেসের তালিকা
বহরমপুরের সাংসদ প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর নাম প্রস্তাবিত। মালদহ দক্ষিণে এবার আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু) অসুস্থ থাকায় তাঁর ছেলে প্রাক্তন বিধায়ক ইশা খান চৌধুরির নাম প্রস্তাব হয়েছে। দার্জিলিং আসনে শঙ্কর মালাকার, পুরুলিয়ায় নেপাল মাহাতো, তমলুকে লক্ষ্মণ শেঠ, মালদহ উত্তরে হরিশচন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম, বীরভূমে মিল্টন রশিদ, রায়গঞ্জে মোহিত সেনগুপ্ত, বালুরঘাটে দলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ, বারাকপুরে অশোক ভট্টাচার্য, উত্তর কলকাতায় সুমন পাল অথবা রণজিৎ মুখোপাধ্যায়, যাদবপুরে দলের প্রধান মুখপাত্র সৌম্য আইচ, দক্ষিণ কলকাতায় আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়দের নাম প্রস্তাব হয়েছে। বাম ও আইএসএফের সঙ্গে সমঝোতা হলে ডায়মন্ডহারবার আসন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে ছাড়া হতে পারে। তার জায়গায় সেই আসনে সৌম্য আইচকে প্রার্থী করতে পারে দল।
আরও পড়ুন। যে BJP-তে যোগ দিলেন, সেই দল দুর্নীতিমুক্ত? মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
আবার মুর্শিদাবাদ আসনে যদি সিপিএমের মহম্মদ সেলিম প্রার্থী হন, তবে,তাঁকে সমর্থন দেবে কংগ্রেস। ওই আসনে কোনও প্রার্থী দেবে না তারা। অন্য দিকে দমদম আসনটিও সিপিএমকে ছাড়াতে পারে কংগ্রেস। তবে যাই সিদ্ধান্ত করা হোক না কেন তা যেন দ্রুত করা হয় তেমনটাই চাইছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
তালিকা প্রস্তুত সিপিএমেরও
অন্য দিকে কংগ্রেসের দোদুল্যমনতায় বিরুক্ত সিপিএম। তাই তারা কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার আগেই ৪২ আসনে প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছে। মঙ্গলবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলির বৈঠক রয়েছে। এই বৈঠকের পরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে সূত্রে খবর। এআইসিসিকে প্রস্তাবিত প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে সিপিএমের জন্য । সূত্রের খবর, এখনও কিছু আসন কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রেখে সিপিএম। যদিও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের দাবি,'প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত। কংগ্রেসকে দোদুল্যমনতা থেকে বেরোতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে পারব না।' অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের উপর হালকা চাপ বজায় রাখছে সিপিএম।