আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। আগামী ৭ মার্চ আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। জানিয়ে দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। দল ঠিক করবে আমি প্রার্থী হব কি না। তৃণমূলের মতো দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলের দরকার।
তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতী পার্টির সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিজেপিকে দরকার। মনে হয় শাসকদলের তরফ থেকে আক্রমণ করা হয়েছিল। অপমানজনক কথা বলা হয়েছিল। তারাই আমায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। তাদের শিক্ষাদীক্ষা আছে বলে মনে হয় না। তাদের মুখপাত্ররা এসব বলেছেন। তাদের দলের কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাচ্ছিল। বড় বড় দুষ্কৃতী মন্ত্রী, আমলার ছদ্মবেশে লুকিয়ে ছিলেন, তারা জেলে আছেন বা অন্যত্র আছেন।
তিনি বলেন, বিজেপি দুর্নীতিগ্রস্ত দল কি দল নয় সেটা আমার দেখার নয়। আমি কোনও দায়িত্ব পেলে দুর্নীতি মুক্ত করব। সৎভাবে রাজনীতি করব। যারা দুর্নীতি করবেন না তাদের রাজনীতিতে আহ্বান করব। ভদ্রলোকরা রাজনীতিতে আসুন। কুণাল ঘোষকে ভালো বলে মনে করি। আমি ধর্মে বিশ্বাস করি। আমি সিপিএমে যেতে পারতাম। কিন্তু ওরা তো ধর্মে বিশ্বাস করে না। পরিবারের জমিদারি চলছে কংগ্রেসে। সেকারণে সেখানেও যেতে পারি না। ….তৃণমূল ভেতর ভেতর ভেঙে পড়ছে…ওরা বেশি দিন আর বাংলায় নেই। ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির বহু তথ্য আমার কাছে দিয়ে যাবেন বলে তিনজন আইনজীবী আজই জানিয়েছেন।
গত ৫-৬ দিনের মধ্য়ে আমার সঙ্গে বিজেপির কথা হয়েছিল। বিজেপিও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তিনি বলেন, মোদী অত্যন্ত পরিশ্রমী মানুষ। দেশের জন্য় কাজ করছেন। তিনি বলেন, যে সময় বিজেপিতে
বিজেপির পার্টি লাইন মেনেই চলব। তবে বিজেপি তো বলেই দিয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা জিরো টলারেন্স । কনটেস্ট করবে না কি করব না সেটা জবাব দেবে বিজেপির উচ্চতর মহল। নারদ কাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, নারদকাণ্ড পুরো চক্রান্ত। এটা কোনও স্টিং অপারেশনই নয়। তালপাতার এক সেপাই ডায়মন্ডহারবারে কীভাবে দুষ্কৃতীদলকে মোকাবিলা করতে হয় আমি দেখিয়ে দেব। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি কুকথা বলার জন্য তিনি কুখ্য়াত। তিন কি ভবিষ্যৎবাণী বলতে শুরু করেছেন কি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে প্রকৃত রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্ব বলতে রাজি। তার বিরুদ্ধে লড়াই হলে প্রকৃত লড়াই হবে তবে তালপাতার সেপাইকে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেই মনে করি না।
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তিনি বলেন, স্বচ্ছতার অভাব ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনিও একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এছাড়া আর কী!
শিড়দাড়াটা সোজা করুন, যেখানে বিবেক বলছে সমর্থন করতে পারছেন না, সেটাই করুন। খাটের তলায় শিড়দাড়া খুঁজবেন না, জানিয়ে দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে সবশেষে সাংবাদিকরা হিন্দিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা বললে তিনি জানিয়ে দেন, হিন্দি আমি জানি না।