মোবাইল ফোনের অ্যাপ থেকে টাকা ধার নিয়ে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। লাগাতার মিলছিল হুমকি ইমেল। এমনকী সেই চক্র থেকে বেরোতে এক বন্ধুর সাহায্যও চেয়েছিলেন কোচবিহারের আত্মঘাতী শিক্ষক উৎপল বর্মন। বুধবার সকালে একই ঘর থেকে মেলে উৎপলবাবুর স্ত্রী ও ছেলের রক্তাক্ত দেহ। সঙ্গে পাওয়া যায় ১২ পাতার সুইসাইড নোট।
তদন্তকারীদের উৎপলবাবুর বন্ধুরা জানিয়েছেন, তিনি যে সমস্যায় রয়েছেন তা বন্ধুদের জানিয়েছিলেন শিক্ষক। টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন কয়েকজনকে। সেই টাকা দিতেও রাজি ছিলেন বন্ধুরা। এই নিয়ে এক আইনজীবী বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শও করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, টাকা ফেরত না দিতে পারলে তাঁর চাকরি চলে যেতে পারে। এরই মধ্যে স্ত্রী - পুত্রকে খুন করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
বন্ধুরা জানিয়েছেন, উৎপলবাবুর নামে একটি মোবাইল অ্যাপ সংস্থা থেকে SMS আসত তাদের কাছে। তাতে দাবি করা হতো, বন্ধুর নম্বর সুপারিশ হিসাবে ব্যবহার করে ঋণ নিয়েছেন উৎপলবাবু। এমনকী উৎপলবাবুর সহকর্মীদের কাছেও পৌঁছেছিল এই মেসেজ।
বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার শহরের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এবিএন শীল কলেজের অস্থায়ী শিক্ষক উৎপল বর্মনের ঝুলন্ত দেহ। ঘরে মেলে স্ত্রী ও ছেলের দেহ। মঙ্গলবার থেকে খোঁজ মিলছিল না পরিবারটির। বুধবার সকালে দিনহাটার গোসানিমারিতে উৎপলের গ্রামের বাড়িতে খবর দেন ভাড়াবাড়ির মালিক। পরিবারের লোকেরা এসে ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাননি। এর পর কোতয়ালি থানায় খবর দেওয়া হয়।