তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জন্য ‘বিখ্যাত’ কোচবিহারে ফের একবার প্রাণঘাতী হামলা হল দলের এক নেতার ওপরে। বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহারের পানিশালা এলাকায় দলেরই অপর গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হন অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি রফিকুল মিয়া। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত রফিকুল কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই হামলা বলে স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল।
রফিকুল মিয়ার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎই তৃণমূল নেতা মকসুদুল হক, মানিক রহমানসহ বেশ কিছু লোকজন বাজারে এসে গুলি চালাতে শুরু করে। গুলির আওয়াজ শুনে লোকজন পালিয়ে যায়। এর পর তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে।
আহত রফিকুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানান রফিকুলের মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। এর পর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনরা।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কিষান ক্ষেত মজদুর সংগঠনের সভাপতি খোকন মিয়া । তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, যারাই অন্যায় করবেন না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে দল। ঘটনার জেরে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রফিকুলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবারও এলাকায়া বোমাবাজি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেখানেই তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা হল। যার জেরে এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি করছেন তারা।