ডানকুনিতে ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সূত্রের খবর, বাইকে চেপে এসেছিল ডাকাতদল। এদিকে বাইক ফেলে দিয়ে তারা বাস ধরে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বাসিন্দাদের সহায়তায় আরামবাগের গোঘাটের কাছে খাটুর এলাকায় তাদের ধরে ফেলে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ব্যাগ ভর্তি সোনার গহনা উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
কীভাবে ধরা পড়ল ওই কুখ্যাত ডাকাতদল? সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ ওই ডাকাতদলের কয়েকজন চিহ্নিত করতে ফেলেছিল। এরপর পালাতে পারে এমন সমস্ত রুটে ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়। নাকা চেকিংও শুরু হয়। সিআইডিও তৎপর হয়। এদিকে আরামবাগের বাসে উঠে সম্ভবত ঝাড়খণ্ড হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সোনা বোঝাই ব্যাগও ছিল। কিন্তু তাদেরকে কোনওভাবে চিনে ফেলেন স্থানীয়রা। এক পুলিশও তাদের চিনে ফেলে। বাস থেকে নামতেই তাদেরকে ঘিরে ধরেন বাসিন্দারা। আর ততক্ষণে অন্য়ান্য পুলিশও এলাকায় চলে এসেছে। তাদের কাছ থেকে সোনা ও আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বাস থেকে নেমেছিল ওরা। ওদের কাছে ব্যাগ ছিল। আমরাও ধরে ফেলি। এরপর পুলিশও চলে আসে। পুলিশ বলে ব্যাগে কোটি টাকার জিনিসপত্র আছে। ডাকাতদের আটকে আমরা রেখে দিয়েছিলাম।
এদিকে একটি ঘরে তাদেরকে আটকে রাখা হয়। বাইকে উৎসাহী বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে। ডাকাত দেখার জন্য ভিড়। পরে পুলিশ কোনওরকমে তাদের বের করে গাড়িতে তোলে।
প্রসঙ্গত ডানকুনির ওই সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে আগে থেকেই দুজনে ছিল। পরে আরও কয়েকজন বাইকে চেপে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বন্দুক দেখিয়ে তারা লুঠপাট চালায়। তবে পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ল তারা।