একদিকে বিডিও’র বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ। তার জেরে চাকরিতে ইস্তফা। বিডিও’র বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে চাকরি ছাড়লেন পঞ্চায়েত সমিতির এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির ওই কর্মী শুক্রবার তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বিডিও’র কাছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
সরকারি চাকরি পাওয়া এখন ঈশ্বর লাভের থেকেও কঠিন। সেখানে সেই চাকরি ছেড়ে দিতে হচ্ছে একজনকে তা ভাবতেই পারছেন না অনেকে। তাও আবার বিডিও’র জন্য। অভিযুক্ত বিডিও তপন সরকার কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। শুধু বলেন, ‘এটি একটি সরকারি বিষয়। এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সন্দীপের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার সুপারিশ করে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন বিডিও।
সন্দীপের দাবি, শনিবার ও রবিবার ছুটির দিনেও অফিসের কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। বাড়িতে বসেও করোনাভাইরাস আবহের মধ্যে অফিসের কাজ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘আমার উপর বিডিও’র মানসিক অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এই ইস্তফাপত্র লিখতে বাধ্য হচ্ছি। অনেক রাতে বাড়ি ফেরার পরেও ফোন করে কাজের মৌখিক নির্দেশ দেন বিডিও। এই মানসিক যন্ত্রণা নিতে পারছি না।’