শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস জোট নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটল না। আবার আশাও থেকে যাচ্ছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। আগামীকাল শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর মালাকারের দাবি, শিলিগুড়ি মন্ডল অনুসরণ করলে তবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে বাম কংগ্রেসের জয় হবে। সিপিএম ও কংগ্রেস এককভাবে তৃণমূল বা বিজেপি হারাতে পারবে না। তবে মহাকুমা পরিষদের নির্বাচনে জোট নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে ২১৫টি আসনে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শঙ্কর মালাকার।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কর বাবু বলেন, ‘আমরা তিনটি আসন চেয়েছিলাম বামেরা একটি আসন দিয়েছে। আমরা দু'টি আসন ছেড়েছি। প্রকৃত আসন রফা হয়নি।’ তবে এ নিয়ে আলোচনা করে সমাধান চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, আসন রফা নিয়ে ফের আলোচনা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিলিগুড়ির জেলা বাম আহবায়ক জীবেশ সরকার। তিনি জানান, আসন রফা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফের আলোচনা হবে। তারপরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ন'টি আসনের মধ্যে দু'টি আসন ছেড়েছে কংগ্রেস এবং একটি আসন ছেড়েছে সিপিএম। অর্থাৎ দুটিতে বামেরা এবং একটিতে কংগ্রেস এককভাবে লড়বে।
উল্লেখ্য, মহকুমা পরিষদের ন'টি আসনের মধ্যে ২০১৫ সালে ৬ আসনে জয়ী হয়েছিল বামেরা এবং তিনটি আসনে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শঙ্কর বাবু জানান, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির জোট হলে পরবর্তী সময়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে। তবে শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন অর্থাৎ মাঝখানে শুধু একদিন বাকি রয়েছে। এই অবস্থায় আদৌও কী বাম-কংগ্রেসের মধ্যে আসন রফা নিয়ে জট কাটবে? সে বিষয়ে অবশ্য প্রশ্ন উত্তর নেই কারও কাছে।