রাজ্যে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া এবং ভাইরাল ফিভার এখন দাপট দেখাচ্ছে। এই নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক হল রাজ্য প্রশাসনে। আজ, রবিবার ছুটির দিনে জরুরি বৈঠক ডাকা হয় নবান্নের পক্ষ থেকে। সেখানে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিদেশ সফরে রয়েছেন। কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতি যেন উদ্বেগজনক না হয় তাই এই জরুরি বৈঠক বলে খবর। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও এখন বিদেশে। তাই প্রশাসনিক সব কাজই স্বরাষ্ট্রসচিব দেখছেন।
ঠিক কী হল বৈঠকে? এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রসচিব এই বৈঠকে জেলাশাসকদের কাছে জানতে চান, ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে প্রশাসন কেমন পদক্ষেপ করেছে। আর কোন পদক্ষেপ করা দরকার সেটাও জানতে চান। জেলাশাসকদের সঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও ছিলেন। তাঁদের কাছে ডেঙ্গি নিয়ে রিপোর্ট নেন স্বরাষ্ট্রসচিব। জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েও নানা কথা জানতে চান বিপি গোপালিকা। ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান স্বরাষ্ট্রসচিব। সেখানে সমস্ত কিছু তুলে ধরা হয়। ডেঙ্গি যাতে না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
কোন জেলাগুলিতে উদ্বেগ বেড়েছে? অন্যদিকে বেশ কয়েকটি জেলার ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিব। সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। আলোচনায় উঠে এসেছে হুগলি, হাওড়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মালদা ও মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি–ম্যালিরিয়ার প্রকোপ বেশি। যা উদ্বেগের কারণ। তাই এই জেলাগুলির উপর বাড়তি নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি–ম্যালেরিয়ার রুখতে প্রত্যেক জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে এই নির্দেশ আজ দেওয়া হয়। তবে পুরসভা এলাকায় ওয়ার্ড কমিটিগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘এখন চাকরির কিছুটা সংকট রয়েছে’, উদয়নের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল
আর কী জানা যাচ্ছে? জল জমে থাকা থেকে মশা ছড়িয়ে পড়ছে। সেদিকে খেয়াল রেখে তা পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। যাতে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মশা জন্মাতে না পারে। ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। সেই পরিকাঠামোর আয়োজন করতে হবে জেলাশাসকদের। ফাঁকা জমি পড়ে থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকেই। পুকুরে নোংরা বা কচুরিপানা জমতে দেওয়া যাবে না। আর এসব কাজের রিপোর্ট নবান্নকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে যাতে ভয়াবহ আকার না নেয় ডেঙ্গি–ম্যালেরিয়া তার জন্যই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর।