প্রথমে দেওয়া হয়েছিল কোভ্যাক্সিন। তারপরে দ্বিতীয় ডোজের সময় দিয়ে দেওয়া হল কোভিশিল্ড। দু'বার দু'রকমের ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠল দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। টিকাপ্রাপকের অভিযোগ, কিছু জিজ্ঞাসা না করেই তাঁকে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। যদিও এই কথা জানার পরেই চিকিৎসকরা টিকাপ্রাপকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
এদিন হাসপাতালে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়েছিলেন জয়া নারায়ণ রায়। তিনি দাবি করেন, টিকাকরণ কেন্দ্রে যাওয়ার পর তিনি দেখতে পান, দুটি আলাদা ঘরে দু'রকমের টিকা দেওয়া হচ্ছে। একটি ঘরে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। অন্যঘরে দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ড। সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসা করেও জানতে পারেন, দুটি আলাদা ঘরে দু'রকমের টিকা দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু তিনি প্রথম ডোজ কোভ্যাক্সিন নিয়েছিলেন, তাই কোভ্যাক্সিনের লাইনেই দাঁড়িয়ে যান। লাইনে দাঁড়িয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাকসিনও পেয়ে যান। ভ্যাকসিন দিয়ে বাইরে বেরিয়ে তিনি জানতে পারেন, কোভ্যাক্সিন নেই। তাই কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে। তখনই তাঁর মনে খটকা লাগে। তখনই স্বাস্থ্য কর্মীদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, তাঁকেও কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাঁর ডোজ বদলে গিয়েছে। সেইসঙ্গে এও বলা হয়, অন্য ধরনের ডোজ নিলে কোনও অসুবিধা নেই। জয়া জানতে পারেন, হাসপাতালে কোনও কোভ্যাক্সিনের মজুত নেই। তিনি প্রশ্ন করেন, কোভ্যাক্সিন যখন মজুত নেই তখন দুই ধরনের ডোজ দেওয়ার জন্য আলাদা শিবির খোলা হয়েছে কেন? তখনই স্বাস্থ্য কর্মীরা দেওয়ালে লাগানো নোটিশের কাগজ ছিড়ে দেয়।
এই ঘটনার পর রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। যদিও এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, ভ্যাকসিন মিশ্রণ বিজ্ঞানসম্মত। তবে এই নিয়ে নানা দেশে গবেষণা চলছে। ভ্যাকসিনের মিশ্রণ শরীরে আরও অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়ায় বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথা ব্যথা বা জ্বর আসতে পারে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মিশ্রণে এই রকম কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কিনা, তার প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু দেশে ভ্যাকসিনের মিশ্রণের ব্যাপারে কোনও স্বীকৃতি মেলেনি।