লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার জন্য কি তৃণমূল নেতাদের সাথে সকল বাংলার মহিলাদের শুতে হবে? প্রশ্ন তুললেন টাকির হোটেলে পুলিশের দ্বারা ঘেরাও হয়ে থাকা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তবাবু বলেন, বাংলার সমস্ত মহিলাদের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।
এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘সন্দেশখালির ঘটনা গোটা বিশ্বে ভারতের মান সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রীয় মহিলা মোর্চা এই সন্দেশখালি নিয়ে গোটা দেশে তারা আন্দোলন করবে। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পুলিশের একটাই লক্ষ্য, কাউকে ঢুকতে না দিয়ে, মহিলাদেরকে ভয় দেখিয়ে তাদের সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সমানে দেওয়া বয়ানকে পরিবর্তন করিয়ে এটা বলানো যে কারও সাথে কিচ্ছু ঘটেনি। সবাই চুপ। মাস্টারমশাই আপনি কিচ্ছু দেখেননি। সিনেমার মাস্টারমশাইয়ের মতো এই মাস্টারমশাইকেও চুপ করানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই মাস্টারমশাই চুপ থাকবে না’।
আরও পড়ুন: চোপড়ায় নিহত শিশুদের পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা, অভিষেকের নির্দেশে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব
এর পরই কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যেতে পুলিশ বাধা দিলে যেখানে বাধা দেবে সেখানেই মহিলাদের মা সরস্বতী মনে করে পুলিশের পায়ের তলায় মা সরস্বতীর পুজো করব। পুলিশের সদ্বুদ্ধি জাগুক। তারা ভাবুক, তাদের মা - বোনেদের সাথে যদি এই ঘটনা ঘটত তাহলে কি তারা চুপ থাকতে পারতেন'?
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১, এবার কে গেলেন শ্রীঘরে?
বাংলার মায়েদের কাছে সুকান্তবাবুর প্রশ্ন, 'আমি বাংলার মেয়েদের কাছে এই প্রশ্ন করতে চাই যারা সরস্বতী পুজোয় ব্রতী হয়েছেন, বা সেই সব মেয়েরা যারা আগামী বছর ভোট দেবেন, আজকে যদি তাদের সাথে এই ঘটনা ঘটত আমরা কি চুপ করে থাকতে পারতাম? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার জন্য কি তৃণমূল নেতাদের সাথে সকল বাংলার মহিলাদের শুতে হবে? এটাই কি শর্ত? বাংলার মেয়েদের কাছে আমার অনুরোধ, প্রত্যেকে নিজের জায়গায় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করুন। এটা চলতে দেওয়া যেতে পারে না’।