ভোটের আগে বিজেপির চার্টার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সভা সমিতিতে তৃণমূলকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগা শুরু করেন তিনি।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি নেতৃত্বের গুডবুকে থাকার জন্য নানা চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডোমজুড় আসন থেকে বিজেপির টিকিটে পরাজিত হন তিনি। এদিকে দিন কয়েক যেতে না যেতেই এবার একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে কার্যত তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্য় তৃণমূলের মুখমাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গেও দেখা করে ফেলেছেন তিনি। আর সবটাই যে এবার তৃণমূলে ফেরার প্রস্তুতি তা আঁচ করতে পেরেছেন দলের অনেকেই।
সেকারণে এবার তাঁর দলে ফেরা আটকাতে সোমবার ডোমজুড়ের সলপ বাজারের কাছে হাতে পোস্টার নিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। তারা রীতিমতো এলাকায় মিছিলও করেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। এমনকী সরাসরি তাঁকে মিরজাফর বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, 'দলে থাকাকালীনও তিনি সাধারণ তৃণমূল কর্মীদের কোণঠাসা করতে চাইতেন। ভোটের ঠিক মুখে তিনি বিজেপিতে চলে গিয়ে সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এবার ভোটে হারতেই তিনি আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। 'রাজীব গদ্দার, হাতজোড় করছি দিদি, দলে নেবেন না,'।
বিক্ষোভকারীরা বলেন,' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটাই আবেদন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নামের একজন গদ্দারকে দলে ফেরাবেন না। দলে ফিরে ফের তিনি অশান্তি পাকাবেন।' সীমা বসু নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, 'দিদির কাছে হাতজোড় করছি এই মিরজাফর, গদ্দারকে দলে নেবেন না। হাইকমান্ড যদি আমাদের অনুরোধ না রাখেন তবে আমরা নবান্ন পর্যন্ত চলে যাব।'