বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ভানু বাগের গোপন জবানবন্দিতে কোন কথা রয়েছে?‌ এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে চলছে তদন্ত

ভানু বাগের গোপন জবানবন্দিতে কোন কথা রয়েছে?‌ এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে চলছে তদন্ত

কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হল ভানু বাগের।

ওড়িশা ভানুর সাহারা গ্রামের সীমান্তে। তাই এখান থেকে চট করে পালানো সম্ভব ছিল। আর এখানে ভানু আগেও বহুবার বাজি কারবারের সুবাদে এসেছিল। তাই রাস্তাঘাট এবং বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে ভানুর পরিচয় ছিল। তাই সেখান থেকে একটা সাহায্য আসবে বলে মনে করেছিল ভানু। কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল।

এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের মৃত্যু হয়েছে। আজ, শুক্রবার কটকের হাসপাতালে ভোর ৩টে নাগাদ তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এগরায় ভানুর অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তখনই সে এলাকা ছেড়ে গা–ঢাকা দেয় ওড়িশায়। কটকের হাসপাতালে তাকে গিয়ে ধরেছিল সিআইডি টিম। সুস্থ হলেই বাংলায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সমস্ত পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে প্রয়াত হল ভানু। তবে শেষ মুহূর্তে কিছু কথা সে বলেছিল বলে সূত্রের খবর। যেটাকে গোপন জবানবন্দি বলা হচ্ছে।

এদিকে সীমান্ত থেকে এতটা রাস্তা মোটরবাইকে গিয়ে কটকের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ভানু বাগ তথা কৃষ্ণপদ বাগ। তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এবার এগরা বিস্ফোরণের তদন্তে কোন পথে এগোবে তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। ভানু কতটা কি বলেছেন?‌ তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে সেই কথা কতটা সত্য বা মিথ্যা এখন সেটাই যাচাই করা হবে। তাতে তদন্ত এগিয়ে গিয়ে আরও কিছু বেরিয়ে আসবে কিনা সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।

অন্যদিকে সিআইডি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ভানু বাগের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করেন সিআইডি অফিসাররা। তবে অগ্নিদগ্ধ শরীরে মৃত্যুকালীন সম্পূর্ণ জবানবন্দি দিতে পারেনি ভানু বাগ। তবে চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে কিছু কথা বলেছিল তখন। সেই মৃত্যুকালীন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তবে ভানু বাগ ঠিক কী বলেছে?‌ সেটা নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তবে অনেকগুলি সূত্র পেয়েছে সিআইডি।

ভানু ওড়িশায় কেন পালিয়েছিল?‌ সূত্রের খবর, ওড়িশা ভানুর সাহারা গ্রামের সীমান্তে। তাই এখান থেকে চট করে পালানো সম্ভব ছিল। আর এখানে ভানু আগেও বহুবার বাজি কারবারের সুবাদে এসেছিল। তাই রাস্তাঘাট এবং বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে ভানুর পরিচয় ছিল। তাই সেখান থেকে একটা সাহায্য আসবে বলে মনে করেছিল ভানু। কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। তাই বেশিদূর যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আর গোটা বিষয়টি গোপন রাখার ব্যাপার ছিল। তাই ওড়িশাকেই নিরাপদ ঠিকানা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। ভানুর দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছিল ভানুর বিরুদ্ধে। ভানুর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। এখন এই তদন্তে তারাই তুরুপের তাস।

বন্ধ করুন