দিল্লি হাইকোর্টের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ হল ওসামা বিন লাদেনের ছবি, আইএসআইএসের পতাকা অথবা মুসলিম প্রচারকদের বক্তব্যের অংশ নিজের কাছে রেখে দেওয়া এটা ইউএপিএ ধারায় অপরাধ বলার পক্ষে যথেষ্ট নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ আল কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের ছবি ডাউনলোড করা মানেই যে তিনি জঙ্গি এমনটা নয়।
বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত, বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানিয়েছেন, কেবলমাত্র ওই ব্যক্তির মোবাইলে লাদেনের ছবি মিলেছে, জেহাদি কিছু সামগ্রী মিলেছে, আইএসআইএস পতাকা মিলেছে, মুলসিম কট্টরপন্থীদের বক্তব্য পাওয়া গিয়েছে কিন্তু তার মানেই এটা নয় যে তাকে জঙ্গি সংগঠনের কোনও সদস্য় হিসাবে গণ্য করা যায়।
আসলে আম্মর আব্দুল রাহিমান নামে এক ব্যক্তির জামিনের আবেদন শুনছিলেন বিচারপতি। তাকে ২০২১ সালে এনআইএ গ্রেফতার করেছিল। তাদের মতে, ওই ব্যক্তি আইসিসের চরমপন্থী ভাবধারায় চলেন। সে দক্ষিণ মধ্য এশিয়ায় চলে যেতে চাইছেন বলেও দাবি করা হয়েছিল। ভারতে ISIS কার্যকলাপ ছড়িয়ে দেওয়ার ছক ছিল তার।
এমনকী ইসলামিক স্টেট সম্পর্কিত কিছু ভিডিয়ো সে ডাউনলোড করেছিল বলে অভিযোগ। লাদেনের ছবিও ছিল তার মোবাইলে।
আদালত জানিয়েছে, আজকের যুগে এই ধরনের ছবি যেখানে খুশি পাওয়া যায়। তবে এগুলি ডাউনলোড করা মানেই যে তিনি ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত তেমনটা বলা যায় না।
আদালত জানিয়েছে, বরং এটা বলা ভালো যে আবেদনকারী চরমপন্থী ভাবধারায় পুষ্ট, তিনি আইএসআইএস সামগ্রী ডাউনলোড করেছেন, মুসলিম চরমপন্থীদের বক্তব্য রেখেছেন কিন্তু তার মানে তার বিরুদ্ধে সেকশন ৩৮ ও ইউএপিএ-এর সেকশন ৩৯ লাগু করা যায় না।
সেকশন ৩৮ হল জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হওয়া সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে হয় আর সেকশন ৩৯ জঙ্গি সংগঠনকে সাপোর্ট দেওয়া সম্পর্কিত ব্যাপারে হয়।