জলপাইগুড়ি শহর এলাকায় হাতি ঢুকে বিপত্তি। হাতি দুটিকে শহর থেকে বের করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বন দফতরের কর্মীদের। শেষ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে ৭ ঘণ্টার চেষ্টার পর হাতি দলকে জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে পেরেছে বন দফতরের কর্মীরা।
গত রবিবার বিকেল ৫ টা থেকে হাতি তাড়ানোর ব্যাপারে উঠেপড়ে লাগে বন দফতরের কর্মীরা। তাড়া খেয়ে কবরস্থান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দিকে চলে আসে হাতির দল। সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে ফের কবরস্থানের দিকে ফিরে যায়। কিন্তু সেখানেও টিকতে পারেনি হাতি দুটি। বাজি–পটকার আওয়াজ পেয়ে ফের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দিকে চলে যায়। এরপরে হাতিগুলিকে নদীপথে জাতীয় সড়কে তোলার চেষ্টা করে বন দফতরের কর্মীরা। সাধারণ মানুষ যাতে হাতিগুলিকে খেপিয়ে তুলতে না পারে সেজন্য এলাকায় মাইকিং শুরু করে পুলিশ। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। জলপাইগুড়ির ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে গোশালা মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত রবিবার রাত ১২টা নাগাদ হাতির দলকে জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয় বন দফতরের কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে পরিবেশ কর্মী জানান, ‘গতকাল রাত থেকে বন দফতর, পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হাতি দুটিকে সুস্থ অবস্থা্য জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হই। সকলের সহযোগিতা না থাকলে হাতি দুটি জঙ্গলে ফেরত পাঠানো সম্ভব হত না।’