ভোটের মুখে ফের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হল পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়াড়িতে। বুধবার সকালে কেশিয়াড়ির এক গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গুড়িয়ে যায় বাড়ির দেওয়ালের একাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের একটি বাড়িও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বিকট শব্দে চমকে ওঠেন আনার গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা পুলিন জানার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কারখানায় বোমা তৈরি হচ্ছিল। কারখানার বাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের আওয়াজে ভেঙে যায় আশপাশের বাড়ির জানালা। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা বাজি কারখানার মালিক।
এদিকে, এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি–র অভিযোগ, ভোটের আগে এখানে বোমা তৈরি হচ্ছিল। এতে তৃণমূলের মদত রয়েছে। পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল। শাসকদলের নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
বিজেপি–র কেশিয়াড়ি দক্ষিণ মণ্ডলের এক নেতার কথায়, ‘এই বোমের তীব্রতা আর আওয়াজে গাছপালা পর্যন্ত কেপে গেছে। বাড়িঘরে মানুষের থালাবাটি পর্যন্ত কেপে গেছে। এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার জন্য এ ঘটনার পেছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মদত রয়েছে বলে আমি মনে করি। আতশবাজি নাকি অন্য কোনও বাজি ফাটল— তা জানতে নিরপেক্ষ পুলিশি তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি, ‘এখানে লোকালয়ে যেভাবে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল তার প্রতিবাদ আগেই করা হয়। পুলিশ–প্রশাসনও বাজি কারখানার মালিককে বারবার গিয়ে সাবধান করে এসেছে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। আর তার পরও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে যে ঘটনা ঘটালেন তাতে তিনিই দায়ী থাকবেন। এর পেছনে কোনও রাজনীতি নেই। গ্রামবাসীরাও জানেন, এতে কোনও রাজনৈতিক দল যুক্ত নয়। বিজেপি মিথ্যা কথা বলে। সারা বাংলায় তারা অপপ্রচার করছে। এ সব নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’