টানা দ্বিতীয় বছর হচ্ছে না পৌষেলা। করোনা আবহে এবছরও মেলার অনুমোদন দেননি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের তরফে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে আয়োজিত হচ্ছে পৌষমেলার। সেই বিকল্প মেলাতে আমন্ত্রণ জানানো হল বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। মেলা উদ্যোক্তাদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের আপ্তসহায়ককে সেই আমন্ত্রণপত্র দিয়ে এসেছে।
বোলপুর পুরসভা, কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতি এবং বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির আবেদন সত্ত্বেও পৌষমেলা না করার সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য। পরে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদনও জানানো হয়। তবে তাতেও সিদ্ধান্ত বদলাননি উপাচার্য। পৌষমেলার আয়োজন না করা হলেও পৌষ উৎসব উদ্যাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী এর আগে জানিয়ে দিয়েছিল এবছরও মেলার আয়োজন সম্ভব নয়। মেলা আয়োজনের মতো সামর্থ্য তাদের নেই বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
বেশ কয়েক বছর ধরে পৌষমেলা নিয়ে নানা টানাপোড়েন চলছে। পৌষমেলায় দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে আদালতের নির্দেশে নানা ফেরবদল করতে হয়েছে। তার ওপরে মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূলের হামলার জেরে শান্তিনিকেতনে উত্তেজনা ছড়ায়। রবিঠাকুরের স্বপ্নের শান্তিনিকেতন ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে ওঠে। এই আবহে টানা দুই বছর বন্ধ থাকল পৌষমেলা। তবে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করে সেই মেলায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হল উদ্যোক্তাদের তরফে।