অনলাইনের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার অপরাধও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই নামকরা ব্যক্তি বা সরকারি পদাধিকারী ব্যক্তিদের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এমনকী পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের নামেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতারণা চালানো হচ্ছে। এবার কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের নাম করে ফের ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল।
আরও পড়ুন: অর্জুন পুত্রের নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতারণার চেষ্টা, থানায় বিধায়ক
জানা গিয়েছে, কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান চক্রবর্তী হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার থাকার সময়ও তাঁর নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, দ্যুতিমান ভট্টাচার্য নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। এরপর বিভিন্ন জনকে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর পরেই ওই চক্র আসবাবপত্র বিক্রির নাম করে প্রতারণার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে আসবাবপত্র কেনার জন্য যারা ইচ্ছা প্রকাশ করছে তাদের সঙ্গে পুলিশ সুপারের নাম করে যোগাযোগ করছে প্রতারকরা। এরপর তাদের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে আসবাবপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে তবে তার জন্য অগ্রিম টাকা দিতে হবে।
জানা গিয়েছে , ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু আসবাবপত্রের ছবি পোস্ট করে জানানো হয়, দ্যুতিমান বাবুর পরিচিত একজন সিআইএসএফ অফিসার বদলি হয়ে যাবেন। সেই আসবাবপত্র তিনি বিক্রি করবেন। সে ক্ষেত্রে যারা কিনতে ইচ্ছুক তাদের যোগাযোগ করতে বলা হয়। তবে যারা যোগাযোগ করেছিলেন তারা প্রতারকদের কথা বলতে বিষয়টি বুঝতে পড়েন। কেউই প্রতারকদের ফাঁদে পা দেননি। শেষে ঘনিষ্ঠ সূত্রে পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
হাওড়া কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার থাকাকালীনও দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিল প্রতারকরা। সেক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি ৯১ হাজার টাকা খুইয়েছিলেন।তারপরে সকলকে সতর্ক করেছিলেন পুলিশ সুপার।