বর্তমানে অনলাইনে প্রতারণা বাড়ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন নামকরা ব্যক্তি, উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিকদের নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। আর এবার বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের পুত্র তথা বিধায়ক পবন সিংহের নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাঁর পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বিধায়ক। এ বিষয়ে তিনি জগদ্দল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি বারাকপুর কমিশনারেটের সাইবার বিভাগেও তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'এই বেজন্মার নামে রিপোর্ট করুন', ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিরক্ত শ্রীলেখা মিত্র
জানা গিয়েছে, তাঁর ছবি দিয়ে এবং তার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। এর পরে তার পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। বিষয়টি স্ক্রিনশট পাঠিয়ে ভাটপাড়ার বিধায়কের কাছে অবগত করেন তাঁর পরিচিতরা। বিষয়টি জানতে পেরে আইনি পরামর্শ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর পাশাপাশি বিজেপির পরিষদীয় দলকে এ বিষয়ে অবগত করিয়েছেন বিষয়ক। দলের তরফে তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
উল্লখ্য, অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও পবন বিজেপিতে আছেন। তিনি নিয়মিত তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। যদিও এই বিষয়টির সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানাননি বিধায়ক। তিনি চাইছেন তাঁর নামে যারা ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে আর্থিক প্রতারণর চেষ্টা করছেন তারা ধরা পড়ুক। বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং সারকারি আমলাদের নামে প্রায়ই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এভাবে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। আইএএস আধিকারিক পিবি সেলিমের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে একইভাবে তাঁর পরিচিতদের প্রতারণার চেষ্টা করা হয়েছিল। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আইপিএস আধিকারিক এভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এক্ষেত্রে প্রতারকরা নামি ব্যক্তিদের ছবি এবং নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। এরপর ওই সমস্ত ব্যক্তিদের পরিচিতদের কাছ থেকে সমস্যার কথা জানিয়ে টাকা চেয়ে থাকে।
এর জন্য তারা অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে থাকে। আর সেক্ষেত্রে তাদের জালে পা দিলে প্রতারণার শিকার হতে হয় মানুষকে। ইতিমধ্যে, বহু মানুষ এই ধরনের ঘটনায় প্রতারণা শিকার হয়েছে। তবে বিধায়কের ক্ষেত্রে ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।