আবার সারমেয়দের উপর নির্মম অত্যাচার নেমে এল। প্রথমে পাড়ার সারমেয়রা নিখোঁজ হযে যায়। সেটা অনেকেরই চোখে পড়ে। একসঙ্গে ৮–১০টি কুকুরকে দেখতে না পেয়ে পড়শিদের মধ্যে চর্চাও হয়। তবে সময় গড়াতেই পাড়ারই এক চাষির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পাঁচটি পথকুকুরের দেহ। আর তাতেই ক্ষেপে ওঠেন বনগাঁর গঙ্গানন্দপুর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেয় পুলিশে। পুলিশ এসে পথকুকুরদের খুনের অভিযোগে ওই চাষিকে গ্রেফতার করে।
ঠিক কী ঘটেছে বনগাঁয়? স্থানীয় সূত্রে থবর, এখানে পাঁচপোতা গান্ধীর মোড় গ্রামের রাস্তায় বরাবর দেখা যেত ৮–১০টি পথ কুকুর। যারা সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল। তখনই এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। খোঁজখবর করতেই দেখা যায় চাষি জাহাঙ্গীর মণ্ডলের বাড়িতে পড়ে রয়েছে পাঁচটি কুকুরের দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশকে খবর দিলে চাষিকে গ্রেফতার করা হয়।
কেন এমন করল চাষি? পুলিশ সূত্রে খবর, জাহাঙ্গীর রজনীগন্ধা ফুল চাষ করত। কিন্তু পাড়ার কুকুরগুলি সেই ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছিল। নানা কৌশল অবলম্বন করে যখন ফল মেলেনি তখনই এই চাষি প্রতিশোধের সিদ্ধান্ত নেয়। আরর কুকুরগুলিকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করে চাষি জাহাঙ্গির। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
কী বলছে অভিযুক্ত চাষি? এই ঘটনার পর অভিযুক্তর দাবি, ফুলের ক্ষেত নষ্ট করে দিচ্ছিল কুকুরগুলি। তাই তাদের কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। জুন মাসেই গোপাল নগর এলাকায় আরও ১৪টি কুকুরকে কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এই পর পর পথকুকুরদের এভাবে নির্মম হত্যা করার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন মানুষজন।