জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালাল হাতির দল। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হল বিঘার পর দিঘা চাষের জমি। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের সীতানগর, ধামকুড়িয়া, গড়বেতা প্রভৃতি এলাকায় চাষের জমিতে হাতির দল তাণ্ডব চালায়। ২০ থেকে ২৫ টি হাতির দল সেখানে তাণ্ডব চালায়। যারফলে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গ্রামবাসীদের। এই অবস্থায় ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: হাতির হানায় মাদারিহাটে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২ জনের, আতঙ্ক এলাকায়
জানা গিয়েছে, এবার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে এমনিতেই চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার উপরে রবিবার রাত ১২টা নাগাদ ২০ থেকে ২৫ টি হাতির একটি দল গড়বেতার আমশোলর জঙ্গল থেকে ওই সমস্ত এলাকাগুলিতে ঢুকে পড়ে। এই সময় প্রচুর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। হাতির পালের পায়ে পিষে বিঘার পর বিঘা ফসল নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকরা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন দৃশ্য থেকে কার্যত মাথায় হাত কৃষকদের। তাদের বক্তব্য, এলাকায় জমিতে হাতির উপদ্রব ঠেকাতে তারা রাতের বেলায় মশাল জেলে পাহারা দিয়ে থাকেন। তবে আগে হাতির উপদ্রব থাকলেও ইদানিং সেখানে হাতির উপদ্রপ ছিল না। ফলে সকলে মোটামুটি নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন যে হাতি আর আসবে না। তাই গত কয়েকদিন ধরে রাতের বেলায় আর পাহারা দিচ্ছেন না। তবে সকালে ফসলের ক্ষতি দেখে কার্যত মাথায় হাত কৃষকদের।
এদিকে, ঘটনা পরপরই বনকর্মীরা হাতির দলটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। স্থানীয়রা চাইছেন দ্রুত হাতিগুলি জঙ্গলে ফিরে যাক। তা না হলে তারা আরও বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পানিকটর বীর থেকে ধামকুড়িয়া বিটে এই হাতিগুলি প্রবেশ করেছে। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলক ঘোষ জানিয়েছেন, কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
অন্যদিকে, এদিন আলিপুরদুয়ারে হামলা চালায় হাতির দল। সেখানে বুনো হাতির হানায় ভেঙে গিয়েছে তিনটি ঘর। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের পিঙ্কি চৌপথি এলাকায়। সোমবার ভোর সকালে দুটি বুনো হাতি মাদারিহাটের পিঙ্কি চৌপথি এলাকায় প্রবেশ করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। বুনো হাতি এলাকার বাসিন্দা নূর আলম আহমেদ, মাহমুদ আনসারী, সালিক আনসারী এই তিন জনের ঘরে হানা দেয়। ফলে তাদের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, বুনো হাতির হানায় তারা আতঙ্কিত। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে তাদের প্রাণ বাঁচাতে হচ্ছে। না ঘুমিয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন মাদারিহাটের বাসিন্দারা।