বিধ্বংসী আগুন লাগল আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরের। আগুনে কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে দফতরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি। রাত ১২ টা নাগাদ আগুন লাগে। তবে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ আসেনি বলে দমকল সুত্রের খবর। ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৩ টি ইঞ্জিন রয়েছে। এই ইঞ্জিনগুলির সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। আগুন লাগার কারণও জানা যায়নি। এদিন আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঁচতলা বিল্ডিং জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আগুন! জোহনেসবার্গে মৃত অন্তত ৫২
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে আসানসোল।দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের দফতরে আগুন লাগে। গভীর রাতে আগুন লাগায় স্থানীয়রা প্রথমে টের পাননি। ফলে আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে। তিনতলার এই অফিসের প্ল্যানিং সেকশন, রেকর্ড রুমে একে একে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা। পরে খবর পেয়ে রাত ২ টো নাগাদ দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রথমে দফতরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি দমকল কর্মীরা। সেই কারণে হোস পাইপের সাহায্যে জানালার কাঁচ ভেঙে দিয়ে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। কার্যত কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে জানা গিয়েছে, আগুনের সময় দফতরে কোনও কর্মী ছিলেন না। ফলে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে উন্নয়ন পরিষদের দফতরে গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি থাকে। সেই সমস্ত নথি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে দমকল সূত্রে জানা যাচ্ছে। সকালের দিকে আগুনের তেজ কিছুটা কমলেও ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। গুরুত্বপূর্ণ নথি যাতে উদ্ধার করা যায় সেবিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও কীভাবে এদিন আগুন লেগেছে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় দমকলের কাছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে তদন্তের পরেই সঠিক কারণ জানা যাবে। আপাতত জোর কদমে চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ।