Toy train: দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ইতিহাসে প্রথমবার লাভের মুখ দেখল টয় ট্রেন

টয় ট্রেন পর্যটকদের পছন্দের হলেও আগে তাতে যাত্রী হত হাতে গোনা। ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা বাড়ানোর জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি রেলের। রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জ্বালানি খরচ এবং সবমিলিয়ে ধসের ফলে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

টয় ট্রেন।

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ইতিহাসে এই প্রথমবার লাভের মুখ দেখল ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন চললেও আগে লাভের মুখ দেখত না টয় ট্রেন। গত দুবছরে করোনার কারণে পর্যটক শূন্য ছিল পাহাড়। যার ফলে টয় ট্রেনের আয় একেবারে তলা নিতে ঠেকেছিল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে এবার টয় ট্রেনে লাভের অঙ্ক ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। যা নজিরবিহীন বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।

টয় ট্রেন পর্যটকদের পছন্দের হলেও আগে তাতে যাত্রী হতো হাতে গোনা। ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা বাড়ানোর জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি রেলের। রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জ্বালানি খরচ এবং সবমিলিয়ে ধসের ফলে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছিল রেলের। তবে সেই সমস্ত ঝরঝাপটা কাটিয়ে এবছর নজিরবিহীনভাবে টয় ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনিই বেড়েছে আয়।

এ বিষয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, ‘এ বছর টয় ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন এক হাজার আসনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আগে টয় ট্রেনে প্রতি বছরে ১ লক্ষ যাত্রী হত। কিন্তু, শুধুমাত্র এপ্রিল-মে মাসে ৩৫ হাজারের বেশি যাত্রী হয়েছে। ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনার নিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে ঘুম ফেস্টিভাল, সামার ফেস্টিভাল ডিএইচআর ফেস্টিভাল। টয় ট্রেনে এসি কোচ থেকে শুরু করে ডিস্টাডোম কোচের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।’ এছাড়াও ছোট ছোট ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর ফলে রেলে যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সালের মে মাসে টয় ট্রেনে আয় হয়েছিল ২.০৭ কোটি টাকা। কিন্তু, এ বছরের মে মাসে সেই আয় বের হয়েছে ৩.২০ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ৫৪ শতাংশ আয় বেড়েছে। তিনি জানান, টয় ট্রেনের ইতিহাসে এই প্রথমবার লাভের মুখ দেখল রেল।