গুরু পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফের বোমা–গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সীমান্ত এলাকা। প্রথমে গরু পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। পালটা গরু পাচারকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ জওয়ানরা। দুপক্ষের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে নদিয়ার ধানতলায় ইছামতি বর্ডার আউটপোস্টের কাছে। দুপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গভীর রাতে বোমা–গুলির বিকট শান্তি কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। বিএসএফের দাবি, এই প্রথম এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটল।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। একদল পাচারকারী বাংলাদেশে গরু পাচার করার চেষ্টা করছিল। তাদের দেখে ফেলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ জওয়ানরা। তখনই আচমকা গরু পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি পাচারকারীরা গুলিও চালায়। পালটা পাচারকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। রাতের অন্ধকারে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। পাশাপাশি পাচারকারীরা বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়ে। দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যেই একজনকে ধরে ফেলে বিএসএফ। সব মিলিয়ে ঘটনায় কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছে।
এদিনের ঘটনা এলাকায় এই প্রথম বলেই দাবি করেছে বিএসএফ। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃত ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত, ধানতলা সীমান্তে বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা এই প্রথম নয়। মাসখানেক আগে সেখানে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল কয়েকজন পাচারকারী। তাদের লক্ষ্য গুলি চালিয়েছিল বিএসএফ। সেই ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন সময় গরু পাচারের অভিযোগে বিএসএফের গুলিতে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে কোচবিহারে মেখলিগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। গরু পাচারকারী সন্দেহে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। এর আগেও বিএসএফের গুলিতে বহু ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বরাবরই বিএসএফের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা বিএসএফের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে। সপ্তাহখানেক আগেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে সক্রিয় থাকতে বলেছিলেন। বিএসএফ মানুষের কাছে গিয়ে অত্যাচার করছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন।