জঙ্গলের মধ্যে দোতলা বাড়ি! চারদিকে পশু পাখিদের আনাগোনা আর সেই এলাকায় এভাবে রীতিমতো পাকা বাড়ি গড়ে ওঠায় আপত্তি করে বন দফতর। এভাবে বাড়ি করা আইন নিষিদ্ধ বলেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেসব নিষেধের তোয়াক্কা না করে উলটে সেখানেই রাতারাতি দোতলা বাড়ি গড়ে তোলা হয়েছিল। শুক্রবার রাজগঞ্জ ব্লকের বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের অধীনে থাকা ফারাবাড়ি নেপালি বস্তিতে হাজির হন বনকর্মীরা। সেখানেই তৈরি হয়েছিল দোতলা বাড়ি। আজ বুলডোজার চালিয়ে ওই বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল।
ঠিক কী ঘটেছিল শিলিগুড়ির জঙ্গলে? এখানে দোতলা বাড়ি না করতে সরকারিভাবে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এই নোটিশও অমান্য করা হয়। নির্মাণ না ভেঙ্গে তা গড়ে তোলা হয়। এবার বাধ্য হয়েই বন দফতরের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি লাগাওয়া ফারাবাড়ি নেপালি বস্তিতে হাজির হয় বনকর্মীরা। শুক্রবার সকালেই বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের পক্ষ থেকে এই অভিযান করা হয়। বন দফতরের বিশাল বাহিনী নিয়ে তারা পৌঁছয় সেখানে। সঙ্গে ছিল পুলিশ। এরপর ওই অবৈধ নির্মাণ দোতলা বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে বাড়ির মালিক ধন বাহাদুর ছেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঠিক কী জানাচ্ছে বন দফতর? এই বিষয়ে এডিএফও মঞ্জুলা তিরকি জানান, এভাবে জঙ্গলের মধ্যে বাড়ি তৈরি করা যায় না। দোতলা পাকা বাড়ি করে ফেলা হয়েছিল। তাই আর্থ মুভার্স ব্যবহার করে ওই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হল। এভাবে অবৈধ নির্মাণ করা হলে যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বার্তাও দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অবৈধ নির্মাণ যেখানে যেখানে হবে, সব জায়গাতেই বুলডোজার চলবে। আমরা যে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম তার উত্তর ওই ব্যক্তি দেন। ধন বাহাদুর ছেত্রী লিখিতভাবে জানান, যদি জায়গা বনদফতরের হয় তা হলে উনি জায়গা ছেড়ে দেবেন। আর যে নির্মাণ হয়েছে তা আমরা ভেঙে ফেলতে পারি। তারপরই আমরা এদিন আসি। আমাদের সঙ্গে পুলিশও ছিল।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। বন দফতরের পক্ষে জানানো হয়েছে এভাবে অবৈধ নির্মাণ করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর তা ভেঙে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আরও যে অবৈধ নির্মাণ আছে তাও ভাঙা হবে। এদিন বনদফতরের পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।