রাজ্যে হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। আলিপুরদুয়ারে ফের হাতির হানায় মৃত্যু হল এক বনকর্মীর। কর্তব্যরত অবস্থায় থাকার সময় জঙ্গল থেকে একটি হাতে এসে তাকে আক্রমণ করে। এরফলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বনকর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার কালচিনির জয়ন্তী জঙ্গলে। মৃত বনকর্মীর নাম আব্দুল কায়াম মিঞা। জানা গিয়েছে সামনে হাতি চলে আসলে বন্দুক তাক করে চালাতে গিয়েছিলেন অন্যান্য বনকর্মীরা। কিন্তু, একটি গুলি বেরোলেও দ্বিতীয় গুলি বার হয়নি। এই ঘটনায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত বনকর্মীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: বন দফতরের বিট অফিসারকে আটকে রাখল গ্রামবাসীরা, গজরাজের হানায় মৃত্যুর জের
জানা গিয়েছে, তিনি কার্তিকা চা বাগানের বাসিন্দা ছিলেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়ন্তীতে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বনকর্মী আব্দুল কয়াম মিঞা জয়ন্তীর জঙ্গলে ডিউটিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় একটি হাতি তার উপরে আক্রমণ চালায়। এরফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালচিনি থানার পুলিশ। বনকর্মীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বনকর্মীরা ৩ জন মিলে জঙ্গলে ডিউটিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকা তাদের ওপর হামলা চালায় হাতি।
মৃত বনকর্মীর ভাই আব্দুল কাদেরের অভিযোগ, ৩ জনের মধ্যে একজনের কাছে বন্দুক ছিল। আচমকা হাতি তাদের সামনে চলে এলে বনকর্মীরা গুলি চালান। এরপর দ্বিতীয় গুলি বের হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই ঘটনার জন্য বন বিভাগের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন। তাদের বক্তব্য, লোকবলের অভাবে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ১০টা লোক থাকার কথা সেখানে ৩ টে লোক গেলে দুর্ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে একইভাবে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল এক বনকর্মীর। সেই ঘটনাটি ঘটেছিল আলিপুরদুয়ার জেলায়। ওই বনকর্মীর নাম ছিল রিঠে সুব্বে । তার সামনে একটি হাতে চলে এসেছিল। সেই সময় বনবিভাগের বন্দুকে তিনি গুলি চালিয়েছিলেন। কিন্তু বন্দুক থেকে গুলি বের হয়নি। তখন হাতিটি শুঁড়ে করে তুলে আছাড় মারে ওই বনকর্মীকে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ফালাকাটা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। ফের একই ঘটনায় বনদফতরের ভূমিকায় উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় বন দফতরের প্রযুক্তি আরও উন্নত করা প্রয়োজন বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।