একটানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ল ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। শুধু হাসপাতাল চত্বরেই নয়, জরুরি বিভাগ ও ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের সামনেও হাঁটু পর্যন্ত জল। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল রাত থেকে একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে হাসপাতাল চত্বরে জল জমে যায়। এদিন সকাল থেকে জল মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে রোগীর পরিবারের সদস্যদের। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পাশাপাশি থাকায় মহকুমা হাসপাতাল থেকে প্রচুর মানুষ ন্যায্যমূলের ওষুধ কিনতে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেন। হাসপাতাল চত্বরে জমে থাকায় অনেকেই অসুবিধার মধ্যে পড়েন। হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, হাসপাতালের নিকাশী ব্যবস্থা ঠিক না হওয়ার কারণেই জল জমে আছে। বেরোতে পাচ্ছে না। সহজে এই জল নামতে চায় না। ফলে চরম দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই কাজ করতে হয়।
প্রায় প্রতি বছরই বন্যার জলে প্লাবিত হয় ঘাটাল। এর আগে যখন প্রবল বর্ষণ হয়েছিল, তখন বাঁধের জল ছাড়ার ফলে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে যায়। তখনও জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল এই ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁটু পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে এলাকার মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দেন তিনি। ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ দেব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি।