সাইকেলের চাকার জড়ানো দড়ি ছাড়াতে গিয়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন প্রৌঢ়! সাইকেলের চাকায় আচমকা কিছু জড়িয়ে যেতে, নেমে দেখতে গিয়ে তিনি দেখেন, সাইকেলের চাকায় দড়ি জড়িয়ে রয়েছে। সেটা ছাড়াতে কয়েক মিনিট লেগেছিল। ওইটুকু সময়ের মধ্যেই ঘটে গেল অভিনব কেপমারি। সাইকেলের হ্যান্ডেলে বাঁধানো ব্যাগের মধ্যে থেকে উধাও হয়ে গেল ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা।
বুধবার এই অভিনব কেপমারির ঘটনা ঘটেছে বারুইপুরে। এদিন বারুইপুরের মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খুদিরামপল্লীর বাসিন্দা বছর ৬৭- এর প্রাক্তন স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার মন্ডল হরিহরপুরের সেন্ট্রাল বাঙ্কের শাখায় টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা তোলেন। তারপর সেই টাকা নিয়ে সাইকেলে করে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি মল্লিকবাজারে পৌঁছলে, আচমকা তাঁর সাইকেলের পিছনের চাকায় কিছু একটা জড়িয়ে যায়। সাইকেল থেকে নেমে তিনি দেখতে পান, তাঁর পিছনের চাকায় একটি দড়ি জড়িয়ে রয়েছে। সাইকেলের চাকায় আটকে থাকা ওই দড়ি ছাড়াতে মিনিট চারেক লেগে যায় প্রণববাবুর। দড়িটি চাকা থেকে ছড়ানো হয়ে গেলে, তিনি উঠে দেখেন, সাইকেলের হ্যান্ডেলে আটকানোর বাজারের ব্যাগের মধ্যে থেকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়াও ফিক্সড ডিপোজিটের শংসাপত্র ও ব্যাঙ্কের পাস বই উধাও হয়ে গিয়েছে।
এর পরেই ওই বৃদ্ধ বারুইপুর থানার দ্বারস্থ হন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আগেভাগেই দুষ্কৃতীরা রেকি করে জেনে নিয়েছিল যে, ওই ব্যক্তির কাছে টাকা আছে। এরপর সুযোগ বুঝে তাঁর সাইকেলের চাকায় দড়ি জড়িয়ে দেওয়া হয়। দড়িটি ছাড়তে যখন বৃদ্ধ ব্যস্ত ছিলেন, সেই ফাঁকে তাঁর বাজারের ব্যাগের মধ্যে থেকে সমস্ত টাকা-পয়সা ও প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে উধাও হয়ে যায় দুষ্কৃতী। তবে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কয়েকদিন আগেই হাওড়ায় চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। গত সোমবার হাওড়ার বাঁকরা পশ্চিমপাড়া মোড়ের কাছে প্রকাশ্যে ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছিল রাস্তায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে মদের দোকানের কর্মী বরুণ প্রামাণিক সাদা রঙের বাজারের ব্যাগে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে স্থানীয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। তখনই দু’জন বাইক আরোহী আচমকা তাঁকে ঘিরে ধরে। চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। তারপর মাথায় ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই বেসামাল হয়ে পড়েন তিনি।
মদের দোকানের তরফে বাঁকরা আউটপোস্টে অভিযোগ দায়ের করা হলে ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায়, একজন স্থানীয় বাসিন্দা দুষ্কৃতীদের ইঙ্গিত করে ওই কর্মীকে চিনিয়ে দিচ্ছেন। বাঁকড়া আউটপোস্টের পুলিশ পরে ওই ‘টিপার’-সহ দু’জনকে আটক করে।