শীত প্রায় বিদায়ের পথে। আর বৃহস্পতিবার থেকেই আকাশের মুখ ভার। সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই প্রবল শিলাবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, আচমকাই প্রবল শিলাবৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে আচমকা শিলাবৃষ্টির জেরে ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। বহু টিনের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলের আঘাতে টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। এদিকে অনেকের পক্ষেই সেই চাল সারানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, ওপরমহলে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জানানো হয়েছে। আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ত্রিপল দিয়ে কোনওরকমে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই করে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।
এদিকে শিলাবৃষ্টির জেরে ধান, আলু, পেয়াজ, রসুন, সর্ষে সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে অনেকেই ঋণ নিয়ে চায করেছিলেন। এই অকাল বৃষ্টিতে তাদের মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে। তবে শুক্রবারও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঋতূ পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে এই ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে দার্জিলিং, কোচবিহার সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়। রিশপে শিলাবৃষ্টিও হয় এদিন। আচমকা ঝড় বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। তবে এদিন বিকালে ঝড়বৃষ্টির পরে কোচবিহারে আকাশে সুন্দর রামধনু দেখা যায়।