‘ধর্ষণকাণ্ডের’ তদন্তে আজই হাঁসখালি আসছে সিবিআই। সেইসঙ্গে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬ ডি, ২০১ এবং ৩৪ ধারা ও পকসো আইনের ছয় নম্বর ধারার মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিযুক্তদের ফাঁসি চান হাঁসখালি কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা
মঙ্গলবারই হাঁসখালির ‘ধর্ষণকাণ্ডে’ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়েন সরকারি আইনজীবী। কেন দেরিতে মামলা দায়ের হয়েছে, তা বলতে পারেননি তিনি। কী তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, তা নিয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলতে ব্যর্থ হন। এমনকী আদালতে পেশ করা কেস ডায়েরির সঙ্গে সরকারি আইনজীবীর দেওয়া তথ্য মেলেনি। বিচারপতি মন্তব্য করেন, যা কেস ডায়েরিতে নেই তা আদালতে বলবেন না।
হাঁসখালি ‘ধর্ষণকাণ্ড’
গত ৪ এপ্রিল হাঁসখালিতে নবম শ্রেণির এক নাবালিকা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছেলের আয়োজিত জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। রাতের দিকে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেন এক মহিলা। সেইসময় অসুস্থ ছিলেন নাবালিকা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে পরদিন হয় তাঁর। কিন্তু অভিযুক্তদের চাপে ময়নাতদন্ত বা ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। গত শনিবার তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালি-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সিবিআই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া
বুধবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় দাবি করেন, কোনও অপরাধীকে রেয়াত করা হয়নি। তৃণমূল চায় যে হাঁসখালির ঘটনায় সিবিআই দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের কড়া শাস্তি দিক। সিবিআই যাতে দ্রুত তদন্ত শেষ করে, সেই আশা করছে তৃণমূল। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ৩৪,০০০ যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। ৯৩ শতাংশ যৌন হেনস্থার ঘটনা পরিবারের মধ্যে ঘটেছে। সুতরাং একজন মহিলা, নারী, কিশোরী যদি পরিবারের মধ্যে সুরক্ষিত-নিরাপদ না হন, বন্ধু-বান্ধবের কাছে নিরাপদ না হন, তাহলে এটা চূড়ান্ত সামাজিক অবক্ষয়ের নিদর্শন। এটা পুলিশ, মিলিটারি দিয়ে শুধু আটকানো যাবে না। সেজন্য জাগ্রত জনমত দরকার। সেই জনমত তৈরির দায়িত্ব শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের এবং সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের।’