বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > রাতের অন্ধকারে মন্দিরে কে?‌ সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল দৃশ্য, আতঙ্ক শৈলশহরে

রাতের অন্ধকারে মন্দিরে কে?‌ সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল দৃশ্য, আতঙ্ক শৈলশহরে

হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার (ভাল্লুক)।

তাহলে কী অশরীরী?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতেই চক্ষু চড়কগাছ।

খস খস আওয়াজ। মাঝে মাঝে থেমেও যাচ্ছে। আবার কিছুক্ষণ পরে একই আওয়াজ। রাতের অন্ধকারে শুনশান রাস্তায় এমনই শব্দ পেয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু কেউ কোথাও নেই। তাহলে কী অশরীরী?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতেই চক্ষু চড়কগাছ। রাতের অন্ধকারে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার (ভাল্লুক)। আর লোকালয়ে ভাল্লুকের উপস্থিতিতে আতঙ্কিত শৈলশহরের বাসিন্দারা।

আতঙ্কের আরও কারণ আছে। এই কালো হিমালয়ের ভাল্লুকটি রাতের অন্ধকারে দার্জিলিংয়ে চলে আসে। আর সেঞ্চেল ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি এলাকার একটি মন্দিরে ঢুকে পড়ে। সারারাত সেখানে ঘোরাঘুরি করে সে। কিন্তু মন্দিরের একটি জিনিসেও স্পর্শ করেনি সে। করেনি কোনও ক্ষয়ক্ষতি। শুধু মন্দিরে রাখা তেল, ঘি, ফল খেয়ে নেয়। সুতরাং অনেকেই অনুমান করছেন, ঠাণ্ডায় খিদে পেয়ে গিয়েছিল এই চারপেয়ের। তার জেরেই লোকালয়ে প্রবেশ।

সকালে এই জিনিসগুলিই পাওয়া যায়নি। মন্দিরে সকালে প্রবেশ করেছিলেন পুরোহিত। তখনই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তাতেই চোখ কপালে ওঠে। তাঁরা দেখেন মন্দিরের ভিতরে ঘুরছে হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার। কিন্তু সকাল হওয়ার আগেই সে ওখান থেকে চলে যায়। কোথায় গিয়েছে সেই ছবি ধরা পড়েনি। আতঙ্ক তাই আরও বেড়েছে।

বিষয়টি দার্জিলিংয়ের বনবিভাগে খবর দেন। এই বিষয়ে ডিএফও সুরত্ন শেরপা বলেন, ‘‌ঘুম, জিমখানা, সিঞ্চেল, তাকদহ–সহ একাধিক জায়গায় হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কারও উপর হামলা করেনি।’‌ এই ঘটনার পর এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভাল্লুকটির খোঁজে তল্লাশি চলছে।

বন্ধ করুন